আইসোলেশনে মারা যাওয়া ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন

বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি (৫৫) করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি করোনা চিকিৎসায় বিশেষায়িত মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা যান।

বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকার ওই বাসিন্দা একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিক আমিন প্রথম আলোকে জানান, জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই ব্যক্তিকে বুধবার বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ এবং পরে রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আজ সকাল পৌনে আটটার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তির পৌনে এক ঘণ্টার মধ্যে তিনি মারা যান।

শফিক আমিন জানান, উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির আইসোলেশনে আসার আগেই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। নমুনার ফলাফল আসার আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। সন্ধ্যায় তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে।

শফিক আমিন আরও জানান, জেলায় আজ পর্যন্ত ৫১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছেন ৬৩ জন। আইসোলেশন থেকে করোনামুক্ত হয়েছেন ২৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ১১ জন মারা গেছেন।