সরকারি সহায়তার তালিকা: অনিয়ম করায় ইউপি সদস্য বরখাস্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সরকারি সহায়তার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে অনিয়মের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক নারী সদস্য সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তির নাম পূর্ণিমা রানী বণিক। তিনি উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউপির সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর নগদ সহায়তা বিতরণের তালিকায় প্রকৃত দরিদ্রদের বাদ দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন ও বিত্তশালীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠে। বিষয়টি নিয়ে গত ২ জুন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল্লাহ আল জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ইউপি সদস্য পূর্ণিমা বণিক ও জামাল মিয়া দরিদ্রদের বাদ দিয়ে নিজেদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের নাম তালিকাভুক্ত করেন। পাশাপাশি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদও সুস্থ ও সচ্ছল লোকদের হতদরিদ্র দেখিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতাসহ প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার তালিকায় নাম দেন।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন অভিযোগটি তদন্ত করে। তাদের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে পূর্ণিমা রানী বণিককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল্লাহ আল বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ ও ইউপি সদস্য জামাল মিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিষয়টি আমি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে মুঠোফোনে জানিয়েছি। তিনি অভিযোগটির পুনঃতদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।’

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য পূর্ণিমা বণিক তালিকায় তাঁর ছেলে আর পুত্রবধূকে অন্তর্ভুক্ত করেন। আরেক ইউপি সদস্য জামাল মিয়াও তাঁর নিকটাত্মীয়দের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তবে তাঁরা সহায়তা পাওয়ার যোগ্য। অন্যদিকে, চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও রাজস্ব) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তালিকায় প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।