ঝালকাঠিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ দুজনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠিতে আজ সোমবার করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর–শ্বাসকষ্ট নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুস হাওলাদারসহ (৭০) দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দুজনের বুকে ব্যথাও ছিল।

মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুসের মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাঁর জামাতা মো. গোফরান এবং স্থানীয় সোহাগ ক্লিনিকের মালিক সোহাগ হাওলাদার।

মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুস হাওলাদারের বাড়ি সদর উপজেলার গাবখান গ্রামে। তিনি আট দিন ধরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও বুকের ব্যথায় ভুগছিলেন।

মো. গোফরান জানান, তাঁর শ্বশুরকে দুদিন আগে রাজাপুর উপজেলার সোহাগ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। আজ সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বেলা ১১টায় ক্লিনিক থেকে বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ছিলেন।

আজ সকালে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আরেক ব্যক্তির নাম সিরাজ উদ্দিন (৬৫)। তিনি ঝালকাঠি শহরের মসজিদ বাড়ির এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

বাড়ির মালিকের ভাই মো. বাদল খান জানান, সিরাজ উদ্দিন জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা নিয়ে মারা যান। তাঁর গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের বাউলকান্দা গ্রামে।

ঝালকাঠির সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) আবুয়াল হাসান জানিয়েছেন, ঝালকাঠি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ মোট সাতজন নতুন করে কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৯। এখন পর্যন্ত ১২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন।