লোকসানের দায় চাপানো হচ্ছে শ্রমিকদের ওপর: সাকি

খুলনার শ্রমিকনেতা নূরুল ইসলাম ও ওলিয়ার রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে গণসংহতি আন্দোলন। জাতীয় প্রেসক্লাব, ৭ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত
খুলনার শ্রমিকনেতা নূরুল ইসলাম ও ওলিয়ার রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে গণসংহতি আন্দোলন। জাতীয় প্রেসক্লাব, ৭ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বিজেএমসি ও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি-ভুলনীতির কারণে যে লোকসান হচ্ছে, তার দায় নিষ্ঠুরভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের ওপর। এই খেলা বন্ধ করতে হবে।

খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিক আন্দোলনের নেতা নূরুল ইসলাম ও ওলিয়ার রহমানকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে সাকি এ কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, এই করোনাকালে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ করে প্রায় ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিক এবং আরও ২৫ হাজার বদলি শ্রমিককে কর্মহীন করার নিষ্ঠুর খেলা চলছে। সরকার বলছে, মিলগুলো খোলা থাকলে প্রতিবছর ২০০ কোটি টাকা লোকসান হয়। অথচ এই সরকারের আমলেই ৪৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ মওকুফ করা হয়েছে। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রেখে হাজার হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিজেএমসি ও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও ভুলনীতির কারণে যে লোকসান হচ্ছে, তার দায় নিষ্ঠুরভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের ওপর। এই খেলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ ছাড়া বক্তব্য দেন গণসংহতির নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনিরুদ্দীন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ। বক্তারা নূরুল ইসলাম ও ওলিয়ার রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, এই সরকার ভোট ছাড়া পুলিশ ও প্রশাসনের ক্ষমতা ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসে আছে। ফলে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলেই, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই, তাকে আর সহ্য করতে পারছে না। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখলে, একটি কার্টুন তৈরি করলে বা সরকারবিরোধী কথা বললেই মাথা গরম হয়ে যায়। রাতের আঁধারে সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে আসা হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে জেলে পোরা হচ্ছে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা লোকসান দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলো বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। পিপিপির নামে প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার ভূমি এবং যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা মিলে আরও প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ সরকারের ঘনিষ্ঠজনেরা দখল করার ষড়যন্ত্র করছে।