নৌকাডুবির ঘটনায় দুজনের লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পদ্মা নদীতে দুটি ডিঙি ডুবে নিখোঁজ হওয়া চারজনের মধ্যে শরিফুল ইসলাম (৩১) ও জুবা (৩২) নামের দুই কৃষিশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে শরিফের এবং বেলা তিনটার দিকে একই এলাকা থেকে জুবার লাশ উদ্ধার করা হয়।

শরিফুল কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের জলিল মিস্ত্রির ছেলে। জুবা একই এলাকার রঞ্জিতের ছেলে। দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় একই এলাকার হারান শেখের ছেলে জুয়েল (৩০) ও নজুর ছেলে জাকির (২৫) এখনো নিখোঁজ। তাঁরা সবাই পেশায় দিনমজুর। নিখোঁজ ওই দুজনের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

পাবনা সদর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান বলেন, সকাল আটটা থেকে ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে। দুপুর সাড়ে ১২টায় শরিফুলের এবং বেলা তিনটার দিকে জুবার লাশ উদ্ধার করা হয়। আরও দুজন এখনো নিখোঁজ। তাঁদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, সুরতহাল শেষে লাশ দুটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এখন পর্যন্ত দুটি লাশ উদ্ধার করেছে। নিখোঁজ অপর দুজনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ১৩ জন দিনমজুর জেলার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামালপুর থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমনে করে কুমারখালীর ঘোষপুর যায়। ঘোষপুর এলাকাটি পাবনা শহর থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে দুটি ডিঙিতে করে পদ্মার চরে ঘাস কাঁটতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। একটি নৌকায় ছিলেন ৯ জন, অপর নৌকায় ৪ জন। নদীর কূল থেকে একটু দুরে যেতেই পানির প্রবল স্রোতে নৌকা দুটি ডুবে যায়। ৯ জন সাঁতরে নদীর তীরে আসতে সক্ষম হন। বাকি ৪ জন নিখোঁজ থাকেন। তাঁদের মধ্যে ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।