নওগাঁয় শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন কোভিডে আক্রান্ত

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

নওগাঁয় আরও ৩৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন রয়েছেন। এ ছাড়া দুজন চিকিৎসক ও দুজন নার্স কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬০০ ছাড়াল। মোট কোভিড রোগী দাঁড়াল ৬২৫ জন। নওগাঁর সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড মেডিসিন রিসার্চ সেন্টার ল্যাব থেকে ১৪০টি নমুনার পরীক্ষার ফলাফল আসে। এর মধ্যে ৩৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। তাঁদের মধ্যে বগুড়া জেলার একজন রয়েছেন।

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা এলাকায় একই পরিবারের পাঁচজনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে চার বছর বয়সী একটি শিশু রয়েছে। এই পাঁচজনসহ নিয়ামতপুরে সাতজন সংক্রমিত হয়েছেন। এ ছাড়া সদরে বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের দুজন চিকিৎসক ও সদর হাসপাতালের দুই নার্সসহ ১৭ জন, মান্দায় ৬, সাপাহারে ৪, বদলগাছীতে ৩ ও পোরশা উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মুর্শেদ বলেন, নতুন শনাক্ত ৩৮ জনের বেশির ভাগের শরীরে জটিল কোনো উপসর্গ নেই। তাঁদের সবাইকে বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে কারওর অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। শনাক্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে এবং তাঁদের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

জেলায় প্রথম করোনা ধরা পড়ে গত ২৩ এপ্রিল। এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৭৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ১২৫টি নমুনার পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। শনাক্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৫০ জন। মারা গেছেন আটজন।

নওগাঁয় নমুনার ফল পাওয়ার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ফল পেতে সাত থেকে আট দিন সময় লাগছে। এ বিষয়ে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নওগাঁয় কোনো পিসিআর ল্যাব না থাকায় ঢাকা, বগুড়া ও রাজশাহীর বিভিন্ন ল্যাবে নমুনা পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু এসব ল্যাবে সক্ষমতার চেয়ে বেশি নমুনা সংগৃহীত হওয়ায় নমুনা পরীক্ষার ফল পেতে দেরি হচ্ছে।