নোয়াখালীতে আরও ৪০ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম আবুল হাশেম (৬৫)। গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরও ৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, নতুন সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কবিরহাট উপজেলায় নয়জন। আর বাকিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ছয়জন, হাতিয়ায় আটজন, বেগমগঞ্জে একজন, সোনাইমুড়ীতে পাঁচজন, চাটখিলে তিনজন ও কোম্পানীগঞ্জে ছয়জন। এ নিয়ে জেলায় শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৪৪০।

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর পর আবুল হাশেমের মরদেহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা ওই দিনই তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাওয়া প্রতিবেদনে পজিটিভ আসে। এ নিয়ে চাটখিল উপজেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজন। আর জেলায় মৃত মানুষের সংখ্যা এখন ৫৪।

মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ফোকাল পারসন তামজিদ হোসেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি গত সোমবার দুপুরের দিকে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তখন তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৪৫ ভাগ, যা থাকার কথা ৯৫–এর ওপরে।

চিকিৎসক তামজিদ হোসেন বলেন, তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের আসোলেশন ইউনিটে নিয়ে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। তাতেও তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ৮৩ থেকে ৮৫ ভাগের ওপরে ওঠানো সম্ভব হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও স্বজনেরা নেননি। পরের দিন ভোরে তিনি আইসোলেশন ইউনিটে মারা যান। এরপর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সর্বশেষ শনাক্ত হওয়া ৪০ জনসহ জেলার ৯টি উপজেলাভিত্তিক করোনা রোগীর সংখ্যা সদর উপজেলায় ৭৩০ জন, সুবর্ণচরে ১৬৪ জন, হাতিয়ায় ৬২ জন, বেগমগঞ্জে ৬৮৬ জন, সোনাইমুড়ীতে ১৩৩ জন, চাটখিলে ১৪৪ জন, সেনবাগে ১০৬ জন, কোম্পানীগঞ্জে ১৪৪ জন ও কবিরহাট উপজেলায় ২৭১ জন।