ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তায় স্বতন্ত্র আইন জরুরি

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত এমনকি পেশাগত কাজ করছি। করোনাকালিন তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও তার প্রয়োজনীয়তা যেন বহুগুণ বেড়েছে। বিভিন্ন কাজে আমরা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য আমরা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দিচ্ছি। কিন্তু আমাদের তথ্য-উপাত্তের সুরক্ষা ও গোপনীয়তার বিষয়ে আমাদের সচেতনতার অভাব দেখা যায়য়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের এই বিষয়গুলো একদমই জানা নেই। তাই আমরা নিজেদের অধিকার যেমন রক্ষা করতে পারি না, তেমনি হয়তো অন্যের অধিকার হরণ করে ফেলি। এ কারণেই ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তায় স্বতন্ত্র আইন প্রণয়ন জরুরি।

ল ফার্ম, লিগ্যাল কাউন্সেল আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। লিগ্যাল কাউন্সেলের পার্টনার মিতি সানজানার সঞ্চালনায় উক্ত ওয়েবিনারে আলোচনায় আংশ নেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বিকাশ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশান অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির এবং লিগ্যাল কাউন্সেলের প্রধান ওমর এইচ খান।
ওমর এইচ খান বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬ ধারা আমাদের কতিপয় তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে বিষয়টির ব্যপকতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুসারে আইন এখন অপ্রতুল।
আলমাস কবির তথ্য-উপাত্তের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে করনীয় দিকগুলো তুলে ধরেন।
কামাল কাদির বিকাশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন।
মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার সকলের সাথে একমত প্রকাশ করে একটি স্বতন্ত্র আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং সেক্ষেত্রে তথ্য-উপাত্তের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা রক্ষা করার গুরুত্ব অপরিসীম।
মিতি সানজানা ওয়েবিনারের সমাপ্তিতে একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি জানান, সব সময়ের মতো লিগাল কাউন্সেল নতুন নতুন আইনগত সৃজনশীল কাজ নিয়ে দেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। ওয়েবিনারটি সরাসরি সম্প্রচার করেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল, চ্যানেল-আই।