কুয়েতে সাংসদ পাপুলের আটকাদেশ ১৪ দিন বাড়ল

শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল
শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল

মানব ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক বাংলাদেশের সাংসদ মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের (পাপুল) আটকাদেশ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। আজ রোববার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট মানব ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের মামলায় তাঁকে কারাগারে রাখার ওই নির্দেশ দেন।

কুয়েতের আল রাই পত্রিকার টুইট থেকে জানা গেছে, শহিদ ইসলামকে মদদ দেওয়ার অভিযোগে আটক কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল শেখ মাজেন আল-জাররাহ আল সাবাহকেও আদালত ২১ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

শহিদ ইসলামের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য ভিসা ও রেসিডেন্ট পারমিট অনুমোদনের অভিযোগে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে আটক করা হয় মেজর জেনারেল শেখ মাজেনকে। এরপর থেকেই তাঁকে তদন্ত কর্মকর্তারা মানব ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

আজ সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে শহিদ ইসলামের পাশাপাশি কুয়েতের আরও দুই নাগরিক হাসান আল খাদের ও নাওয়াফ আল সালাহিকে দুই সপ্তাহের জন্য আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে।

মানব ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে কুয়েতের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) কর্মকর্তারা গত ৬ জুন শহিদ ইসলামকে তাঁর বাসা থেকে আটক করে। এরপর গোয়েন্দাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে শহিদ ইসলাম কুয়েতের রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রভাবশালী লোকজনকে ঘুষ দিয়ে অনৈতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মেজর জেনারেল মাজেনসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকবার শহিদ ইসলামের জামিন নাকচ করে আদালত তাঁকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মামলার চার্জ গঠন করা হয়েছে।