চীন থেকে সাংবাদিকদের জন্য মাস্ক পাঠালেন বাংলাদেশি তরুণ

চীন থেকে সাংবাদিকদের জন্য কেএন-৯৫ মাস্ক পাঠালেন মিজানুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
চীন থেকে সাংবাদিকদের জন্য কেএন-৯৫ মাস্ক পাঠালেন মিজানুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

উচ্চশিক্ষা নেওয়ার জন্য সুদূর চীনে আছেন বাংলাদেশের এক তরুণ। তবুও দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সব সময় চিন্তা হয় তাঁর। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি বগুড়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য ১০০টি কেএন-৯৫ মাস্ক পাঠিয়েছেন। ঝুঁকির মধ্যেও সাহসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ায় তিনি তাঁদের জন্য উপহার হিসেবে মাস্কগুলো দিয়েছেন। ওই তরুণের নাম মিজানুর রহমান।

চীনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন মিজানুর রহমান। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর সরকারপাড়া গ্রামের আবু জাফরের ছেলে। চীন থেকে তাঁর পাঠানো ১০০টি কেএন-৯৫ মাস্কের মধ্যে বগুড়া প্রেসক্লাবে ৬০টি, দৈনিক করতোয়ায় ১০টি ও অন্য সাংবাদিকদের ৩০টি আজ মঙ্গলবার দেওয়া হয়। বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ রেহমান মাস্কগুলো গ্রহণ করেন। এ সময় মুঠোফোনে বগুড়া প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মিজানুর রহমানকে ধন্যবাদ জানান মাহমুদুল আলম।

মিজানুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোভিড-১৯–এর সংক্রমণের ঝুঁকি ও মৃত্যুর দিক থেকে এখন রাজশাহী বিভাগের শীর্ষে অবস্থান বগুড়া জেলার। এ কারণে বগুড়ার সাংবাদিকেরা বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বগুড়ার অনেক সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা মহামারি চলাকালে সাংবাদিকদের প্রশংসনীয় ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁদের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে বৃত্তির অর্থ বাঁচিয়ে তাঁদের জন্য চীন থেকে মাস্কগুলো পাঠিয়েছি।’

এর আগে গত মার্চে মিজানুর রহমান তাঁর বৃত্তির টাকা দিয়ে বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষার ১০০টি কিট কিনে পাঠিয়েছিলেন। এই কিট তিনি জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় হুইপ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগে পৌঁছে দেন। এ ছাড়া তিনি জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসন, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের ৩০৮টি কেএন-৯৫ মাস্ক উপহার দেন।