চাঁদপুরে ডিজিটাল আইনের মামলায় গ্রেপ্তার তিন শিক্ষক কারাগারে

শিক্ষামন্ত্রী, ইউএনওসহ বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার চাঁদপুর সদরের ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের তিন শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ওই তিন শিক্ষক হলেন জাহাঙ্গীর আলম (৪০), নোমান সিদ্দিকী (৩৫) ও এ বি এম আনিসুর রহমান (৪০)। তিনজনই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং নোমান সিদ্দিকী সদস্য। এ বি এম আনিসুর রহমান ও নোমান সিদ্দিকী আপন দুই ভাই।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি। আদালত আগামী বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।’

পুলিশ জানায়, ওই তিন শিক্ষক বিভিন্ন সময় আয়শা খন্দকার নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা, ফরক্কাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হান্নান মিজিসহ জেলা ও বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নামে অপপ্রচার চালান।

গত ২৭ এপ্রিল চাঁদপুর মডেল থানায় এ নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রেজাউল করিম তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেন। পরে ফরক্কাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হান্নান মিজিকে বাদী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। এই মামলায় আদালত ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত রোববার দিবাগত রাতে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই রেজাউল করিমের নেতৃত্বে তাঁদের কলেজ ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।