মাদকসহ তিনজনকে ধরলেন সাংসদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সাংসদ সামিল উদ্দীন আহমেদ শিবগঞ্জের চককীর্তি থেকে তিনি নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে তাঁর গাড়ির সামনে দিয়ে একটি ইজিবাইককে দ্রুতগতিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের দিকে যেতে দেখেন। সন্দেহ হওয়ায় ইজিবাইকটি ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে ইজিবাইকের গতিরোধ করে ফেনসিডিলের বোতলসহ তিনজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ-সোনামসজিদ সড়কের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায়।

ফেনসিডিলসহ আটক হওয়া তিন ব্যক্তি হলেন শিবগঞ্জের কালীগঞ্জ বাবলাবোনা এলাকার মো. মরফুল (৪০) এবং সদর উপজেলার মহারাজপুরের আনোয়ার হোসেন (২৫) ও মো. ইব্রাহীম (২৮)।

শিবগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে শিবগঞ্জের চককীর্তি থেকে নিজ বাড়ি মনাকষায় আসার পথে পাইলিং মোড়ে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে একজনকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য থামেন।এ সময় একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক দ্রতগতিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ইজিবাইক থেকে একজন বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। ওই চিৎকার শুনে গাড়ি নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার ধাওয়া করে ইজিবাইকটির গতিরোধ করা হয়। এরপর ইজিবাইকের তিন আরোহীর কাছ থেকে ১৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সাংসদ ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁদের ফেনসিডিলের বোতলসহ সন্ধ্যার দিকে শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেন।

সাংসদ সামিল উদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই ইজিবাইকে মো. মরফুল নামে একজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল তিনজন। তাঁরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী। আটক করার সময় একজন পালিয়ে যান। মরফুলের কাছে তাঁরা মাদকের এক লাখ টাকা পাবে বলে জানান। এ জন্য তাঁরা তাঁকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অপর দুজন হলেন সদর উপজেলার মহারাজপুরের আনোয়ার হোসেন ও মো. ইব্রাহীম। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শিবগঞ্জ থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাত আরা জানান, আটক করা তিন ব্যক্তিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।