টাঙ্গাইলে বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

প্রবল পানির স্রোতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নওগাঁ গ্রামে এলানজানী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। বুধবার নওগাঁ গ্রাম থেকে তোলা ছবি। প্রথম আলো
প্রবল পানির স্রোতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নওগাঁ গ্রামে এলানজানী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। বুধবার নওগাঁ গ্রাম থেকে তোলা ছবি। প্রথম আলো

বন্যার পানির চাপে¯টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নওগাঁ গ্রামে এলানজানী নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে সদর, বাসাইল ও কালিহাতী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে।

স্থানীয় ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সৈয়দ কবিরুজ্জামান জানান, টাঙ্গাইলে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) একাধিকবার জানালেও বাঁধ রক্ষার ব্যাপারে তারা কোনো যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি। গত কয়েক দিন পানি বাড়তে থাকায় পাউবো এলানজানী নদীর বাঁধের নওগাঁ গ্রামে কিছু বালুর বস্তা ফেলেছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার রাতে বন্যার পানিতে পাউবোর বালুর বস্তা ভেসে যায়। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার পর বাঁধটি ভেঙে ওই এলাকাসহ পাশের কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ও বল্লা ইউনিয়ন এবং বাসাইল উপজেলার ফুলকি ও কাশিল ইউনিয়নের ২০ গ্রামে পানি ঢোকে।

ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল বারেক জানান, বাঁধটির প্রায় ২০০ ফুট ধসে পড়েছে। আস্তে আস্তে ভাঙন আরও বাড়ছে। খবর পেয়ে ইতিমধ্যে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সময় মতো কাজ করলে বাঁধটি রক্ষা করা যেত। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতের জন্য শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পাউবো টাঙ্গাইল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ওই বাঁধে চার থেকে পাঁচ দিন ধরে সংস্কারকাজ চলমান ছিল। গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করা হয়েছে। রাত তিনটার পর বাঁধটি ভেঙে যায়। পানি কমে গেলে বাঁধ মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।