খালে ধরা পড়ল বিলুপ্তপ্রায় 'রানি মাছ'

জেলেদের জালে ধরা পড়া রানি মাছ। শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার নাসিরপুর গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো
জেলেদের জালে ধরা পড়া রানি মাছ। শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার নাসিরপুর গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতির ‘রানি মাছ’ ধরা পড়েছে জেলেদের জালে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদরের নাসিরপুর গ্রাম-সংলগ্ন কুকুরিয়া খালে বিলুপ্তপ্রায় এসব মাছ ধরা পড়ে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে হাওরবেষ্টিত নাসিরনগরের নাসিরপুর গ্রামের কুকুরিয়া খালে জাল পেতে মাছ ধরতে যান দুই জেলে লাল মোহন সরকার ও নীল মোহন সরকার। তাঁদের জালে ধরা পড়ে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অনেকগুলো রানি মাছ। স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক অতুল ভট্টাচার্য বিষয়টি শুনে ওই জেলেদের কাছে যান। পরে তিনি পরিমাণ করে ২২০ টাকায় এক কেজি রানি মাছ কিনে নেন।

অতুল ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘রানি মাছের দেখা এখন মেলে না। এই প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত। এই প্রথম উপজেলায় এ ধরনের মাছ দেখেছি।’

রানি মাছের রং হলুদ। গায়ে কালো ডোরা কাটা। দেহ চ্যাপ্টা ও লম্বাটে। এই প্রজাতির মাছ ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। স্থানীয়ভাবে এই প্রজাতির মাছ বাংলা রানি মাছ, বউ মাছ বা গাঙ্গ রানি বলেও পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম: Botia dario। বাংলাদেশে ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী, এ প্রজাতির মাছ সংরক্ষিত।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাজমহল বেগম ও নাসিরনগর উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাজিরুল ইসলামের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁরা ধরেননি। তবে সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সামছু উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রানি প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। তবে তিতাস নদে এই প্রজাতির মাছ রয়েছে। মাঝেমধ্যে জেলেদের জালে এই মাছ ধরা পড়ার খবর তাঁরা পান। বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় এই মাছ শিকার বন্ধ করা দরকার।