চট্টগ্রামে আইসোলেশন সেন্টারে পশু কোরবানি, ঈদ উদযাপন

চিকিৎসাধীন রোগীদের ঈদ আনন্দ দিতে আইসোলেশন সেন্টারে কোরবানি দেওয়া হয়েছে চারটি ছাগল। আজ শনিবার নগরের হালিশহরের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে এই কোরবানি দেওয়া হয়। রোগী, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। আবার কয়েকটি আইসোলেশন সেন্টারে রোগীদের জন্য কোরবানির মাংস পাঠানো হয়েছে নগরের কোতোয়ালি থানা থেকে।

নগরের হালিশহরে প্রিন্স অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারে গড়ে তোলা ১০০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টার ১৩ জুন থেকে রোগী ভর্তি শুরু করে। কয়েকজন তরুণ এই আইসোলেশন সেন্টারের উদ্যোক্তা। প্রধান উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন নিজে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন নগরের জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

তাঁর হাতে গড়া আইসোলেশন সেন্টারে আজ শনিবার রোগী রয়েছে ২৪ জন। শুক্রবার ৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সাজ্জাতের সহকর্মীরা রোগীদের ঈদ আনন্দ দিতে কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সে জন্য সকালে চারটি ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়।

করোনা আইসোলেশন সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক নুরুল আজিম বলেন, তাঁদের এখানে ১৭ জন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছেন। একেবারেই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। গত দুই মাসে একবারের জন্যও বাড়ি যায়নি অনেকে। রোগী এবং স্বেচ্ছাসেবী ভাইদের কথা চিন্তা করে আমাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে আমরা চারটি ছাগল কোরবানি দিয়েছি। কোরবানির মাংস দিয়ে দুপুরে খাবার পরিবেশন করা হয়।

এদিকে, কোতোয়ালি থানা থেকেও রান্না করা কোরবানির মাংস আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সেন্টারটির মুখপাত্র জিনাত সোহানা চৌধুরী।

কোতোয়ালি থানা থেকে নগরের কয়েকটি আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনায় মৃতদের দাফনের কাজে জড়িতদের জন্য কোরবানির মাংস পাঠানো হয়েছে। এই থানায় একটি গরু ও দুটি ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়। পরে সেখানে তা রান্না করা হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, করোনার শুরু থেকেই অনেক তরুণ-যুবক স্বেচ্ছাশ্রমে বিভিন্ন আইসোলেশন সেন্টারে আক্রান্তদের সেবা দিচ্ছেন। অনেকে লাশ দাফন ও দাহ করছেন। কোতোয়ালি থানার পক্ষ থেকে তাদের জন্য কোরবানি দেওয়া হয়। পরে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। করোনায় অনেক স্বজন হারানো পরিবারেও গোশত পাঠানো হয়েছে। ঈদের আনন্দটা যেন ভাগাভাগি নিতে পারি সকলে এই প্রত্যাশা।

হালিশহর করোনা আইসোলেশন সেন্টার, ফিল্ড হাসপাতাল, আল মানাহিল ফাউন্ডেশন ও গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে এসব মাংস পাঠানো হয়।