ইউনিয়ন মেম্বার পাচ্ছেন বয়স্ক ভাতা

আতাউর রহমান
আতাউর রহমান

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় কামারপুকুর ইউনিয়নের এক মেম্বার পাচ্ছেন বয়স্ক ভাতা। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বয়স্ক ভাতা কার্ড করেছেন তিনি। প্রথম কিস্তির টাকা গত ঈদুল আজহার সময় উত্তোলন করেছেন।

এই মেম্বার হলেন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আতাউর রহমান। নিজবাড়ী গ্রামে তাঁর বাড়ি। চলতি বছরের প্রথম দিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে বয়স্ক ভাতা প্রদানের জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক চলমান জরিপের সময় তিনি তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। পরে তাঁর নামে ভাতা বই ইস্যু করে সমাজসেবা অফিস।

এ ব্যাপারে কথা হয় আতাউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বয়সের দিক থেকে ভাতাপ্রাপ্তির যোগ্য হওয়ায় আমার ভাতা কার্ড হয়েছে। যার বই নম্বর ১৪১৪, হিসাব নম্বর ১১৬৮।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেম্বারি আর কয় দিন আছে। আগামী নির্বাচনে আমি মেম্বার হতে পারব, এমন গ্যারান্টিও নাই। তাই কার্ডটা করে নিয়েছি।’

কামারপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম লোকমান বলেন, ‘মেম্বারের বয়স্ক ভাতা কার্ড করার বিষয়টি আমি জানতাম না। তিনি কীভাবে এমন কাজ করলেন, তা আমার চিন্তায় আসছে না। আমার জানামতে, একজন রানিং মেম্বার কোনোভাবেই সরকারি অন্য কোনো সুবিধা নিতে পারেন না। তবে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব উপজেলা সমাজসেবা অফিসের।’

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোছা. হাওয়া খাতুন বলেন, ‘এ ধরনের ব্যক্তির নামে কার্ড হতে পারে না। এটা দেখার বিষয় আমার অফিসের স্টাফদের। হয়তো ভুলবশত এমনটা হয়েছে। তবে যেহেতু আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি, এখন আমরা কার্ডটি বাতিল করব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ বলেন, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই তালিকা থেকে ওই মেম্বারের নাম বাতিল করা হবে। কীভাবে তালিকায় তাঁর নাম উঠল, তা তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।