লাঞ্ছনার শিকার নারী শ্রমিকের আত্মহত্যা?

ময়মনসিংহের ভালুকায় দেহ তল্লাশির নামে লাঞ্ছনা করায় গত বৃহস্পতিবার সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) নামের এক শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত্যুর খবরে ভরাডোবা এলাকার এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইলে একই দিন সন্ধ্যায় ভাঙচুর করেন শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবারের পর সাবিনা আবার কারখানায় ঢোকার সময় দায়িত্বপ্রাপ্তরা দেহ তল্লাশির নামে তাঁকে লািঞ্ছত করেন। এ সময় সাবিনার ভ্যানিটি ব্যাগে সিগারেট ও দেশলাই পান। এ অভিযোগে তাঁকে তৎক্ষণাৎ ছাঁটাই করা হয়।
শ্রমিকেরা জানান, এক পুরুষ সহকর্মীর অনুরোধে ওই নারী শ্রমিক সিগারেট ও দেশলাই আনতে চেয়েছিলেন। ছাঁটাই হওয়ার পর দুপুরে সাবিনা ত্রিশাল উপজেলার বৈলর গ্রামে তাঁর নিজের বাড়িতে চলে যান। এরপর তিনি আত্মহত্যা করেন।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, সাবিনার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি ফেরার পর থেকে তাঁকে খুব হতাশ দেখাচ্ছিল।
সাবিনা পরিবারের সদস্যদের বলেছিলেন, তাঁর কিছুই ভালো লাগছে না। তাঁকে কেউ অপমান করেছে, সেটা বোঝা গেলেও কোথায় কী ঘটেছে, তা পরিবার জানতে পারেনি।
এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আরিফ মুঠোফোনে সাবিনাকে লাঞ্ছনার কথা অস্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার মধ্যে কয়েক হাজার শ্রমিক রাস্তায় নেমে আেসন৷ পরে ওই শ্রমিকেরা তাঁরা কারখানার জানালার কাচ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। শ্রমিকেরা প্রায় ঘণ্টব্যাপী ভাঙচুরের সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে পুলিশ ১২ রাউন্ড শটগানের রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।