বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-ভাঙচুর

চট্টগ্রামের বেসরকারি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা আজ শনিবার সকালে নগরের প্রবর্তক মোড় শাখা ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালান। ছবি: জুয়েল শীল, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বেসরকারি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা আজ শনিবার সকালে নগরের প্রবর্তক মোড় শাখা ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালান। ছবি: জুয়েল শীল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বেসরকারি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা আজ শনিবার সকালে নগরের প্রবর্তক মোড় শাখা ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালান। বার কাউন্সিলের অধীনে অ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগের দাবিতে তাঁরা এমনটি করেন।

এ সময় ছবি তুলতে গেলে বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার আলোকচিত্রীদের বাধা দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

দৈনিক পূর্বকোণ-এর আলোকচিত্রী মো. শরীফ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সকালে আমরা কয়েকজন আলোকচিত্রী বিজিসি ট্রাস্টের প্রবর্তক ক্যাম্পাসের ভেতরে ভাঙচুর ও বিক্ষোভের ছবি তুলতে যাই। এ সময় কয়েকজন বিক্ষুব্ধ ছাত্র আমাদের ওপর চড়াও হন। তাঁরা আমাদের ছবি তুলতে বাধা দেন।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ১০টা থেকে আইন অনুষদের বিভিন্ন সেমিস্টারের কয়েক শ শিক্ষার্থী শাখা ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে তাঁরা শাখা ক্যাম্পাসের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে থাকেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের সামনে তাঁদের বিক্ষোভ চলে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ শাখা ক্যাম্পাসের আইনের শিক্ষার্থীদের অ্যাডভোকেটশিপ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না—বার কাউন্সিল এমন কথা শুনে ওই অনুষদের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন।

নাম প্রকাশ না করে আইন অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবর্তক মোড় শাখা ক্যাম্পাসটি বৈধ জেনেই এখানে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু আমরা জেনেছি, বার কাউন্সিল কয়েক দিনের মধ্যেই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসটি অবৈধ হিসেবে এখানকার শিক্ষার্থীদের অ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষা দিতে দেবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সমস্যার সমাধান করার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’