স্বাধীনতা পদক পেলেন কিবরিয়াসহ সাতজন

মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ সাতজনকে এ বছর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হাতে (জীবিতদের) স্বাধীনতা পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বাসসের।

বিশিষ্ট ওই সাত ব্যক্তি হলেন কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী (মরণোত্তর), রাজশাহী রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি মামুন মাহমুদ (মরণোত্তর), সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিববিয়া, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, চলচ্চিত্র অভিনেতা আবদুর রাজ্জাক, বিশিষ্ট কৃষি গবেষক মোহাম্মদ হোসেন মণ্ডল ও সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত (মরণোত্তর)।

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য শাহ এ এম এস কিবরিয়া, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীকে (মরণোত্তর) ও রাজশাহী রেঞ্জের সাবেক পুলিশের ডিআইজি মামুন মাহমুদকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে শাহ এ এম এস কিবরিয়া ১৯৭১ সালে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে কাজ করেছেন। কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। অন্যদিকে ৭১-এ রাজশাহী রেঞ্জে পুলিশের ডিআইজি হিসেবে কাজ করার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করায় পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নিহত হন মামুন মাহমুদ।

সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য চলচ্চিত্র অভিনেতা আবদুর রাজ্জাক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বিশেষ অবদানের অবদানের জন্য বিশিষ্ট কৃষি গবেষক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন মণ্ডল এবং জন্য সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য প্রখ্যাত সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্তকে (মরণোত্তর) এ সম্মানে ভূষিত করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত স্বাধীনতা পদক-২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। এতে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।