আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের

কুমিল্লা শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম প্রধান হত্যা মামলায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল খানের দুই ছেলেসহ বর্তমান ও সাবেক ২২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। গত রোববার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। জহিরুল স্থানীয় সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিনের অনুসারী বলে পরিচিত।
কোতোয়ালি থানার এসআই মো. সামসুদ্দিন চৌধুরীকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আসামিরা সবাই রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল খানের অনুসারী। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আফজল খানের দুই ছেলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ পারভেজ খান, নাসরুল্লাহ খান, আদর্শ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী রিয়াজ মাহমুদ, শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস, জেলা ছাত্রলীগের কর্মী ইমন ভূঁইয়া, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মীর সাব্বির আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম খান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা গত শনিবার বিকেল পাঁচটায় কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর থেকে রানির বাজার সড়কে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনিভাবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম প্রধানকে হত্যা করে।
জানতে চাইলে মাসুদ পারভেজ খান বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি কুমিল্লায় ছিলাম না। ওই দিন ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে খুলনায় একটি বৈঠকে ছিলাম।’
গত শনিবার বিকেলে নগরের কান্দিরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাইফুল ইসলাম প্রধানকে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর জখম করে একই দলের প্রতিপক্ষ নেতা-কর্মীরা। গত রোববার সকাল নয়টায় কুমিল্লা নগরের ঝাউতলা এলাকার মুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল মারা যান।