পল্লবীতে শিশুর লাশ

রাজধানীর পল্লবীর একটি বাসার পানির রিজার্ভ ট্যাংক থেকে চার বছরের একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি দুর্ঘটনা না হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তুরাগ এলাকা থেকে আরও এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পল্লবীতে নিহত শিশুটির নাম রবিউল। তার নানা আবদুর রহমান জানান, পল্লবীর ৬ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের ৭ নম্বর লেনের একটি ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত রবিউল। তার বাবা বাবুল পাটোয়ারী ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী। গত রোববার সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে রবিউলকে ওই বাসায় পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটিকে আর পাওয়া যায়নি। পরে রাত ১২টার দিকে পাশের বাড়ির গৃহকর্ত্রী জানান, তাঁদের রিজার্ভ ট্যাংকে একটি শিশুর দেহ ভাসছে।
পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনি আরা আক্তার জানান, খবর পেয়ে রাত পৌনে একটার দিকে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুখ খোলা রিজার্ভ ট্যাঙ্কে দুর্ঘটনাবশত পড়ে মারা গেছে শিশুটি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আরও একটি লাশ উদ্ধার: তুরাগের মান্দুরার বালুরমাঠ এলাকা থেকে গতকাল মহর আলী (৪২) নামে এক দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাকে-মুখে রক্ত ও কমলা রঙের স্যান্ডো গেঞ্জি দিয়ে ফাঁস দেওয়া ছিল।
তুরাগ থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, গতকাল ভোরে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সঙ্গে থাকা কাগজপত্র থেকে তাঁর নাম-ঠিকানা জানা গেছে। তিনি আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় থাকতেন। তবে কারা, কেন তাঁকে হত্যা করল সে বিষয়ে কোনো সূত্র পায়নি পুলিশ। তিনি রোববার কাজের খোঁজে বেরিয়ে আর ফেরেননি। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে।