মিয়ানমার ফেরত দিল ১৫০ বাংলাদেশিকে

মানব পাচার
মানব পাচার

১৫০ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার। গতকাল সোমবার বিজিবি ও মিয়ানমারের অভিবাসন বিভাগের বৈঠকের পর ওই ১৫০ জন বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করা হয়। মিয়ানমারের মংডুতে এই বৈঠক হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, গত ২১ মে মিয়ানমার উপকূল থেকে ২৮৪ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে সে দেশের নৌবাহিনী। তাঁরা ট্রলারে করে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকে ১৫০ জনকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করে গতকাল ফেরত পাঠানো হলো।
বিজিবি সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে প্রবেশ করে। এরপর মিয়ানমারের মংডু শহরের ঢেকিবুনিয়ায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একটি ফাঁড়িতে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন কক্সবাজার ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর ইমরান উল্লাহ সরকার, বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের মেজর আমিনুল হক। এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও অভিবাসন পুলিশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন বিভাগের মংডু জেলার উপপরিচালক স নেইং। বৈঠকে ১৫০ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে বিজিবি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
বিজিবির কক্সবাজার ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম প্রথম আলোকে জানান, দেশে ফেরত আনা অভিবাসীদের প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশে ফেরত আনা অভিবাসীদের গ্রহণ করার জন্য ঘুমধুম সীমান্তে ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ও পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ।
পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, ১৫০ অভিবাসীকে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আনা হয়। মঙ্গলবার (আজ) তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে।