ব্যতিক্রমী মানুষ ছিলেন অধ্যাপক এ আর খান

অধ্যাপক এ আর খান ছিলেন সত্যিকার অর্থে একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। যে কাজেই হাত দিয়েছেন, তা নিষ্ঠা ও গুরুত্বের সঙ্গে সম্পাদন করেছেন। তিনি ছিলেন নতুন প্রজন্মের সব সময়ের শিক্ষক। তাঁর বহু কিছু দেওয়ার ছিল।
দেশের শীর্ষস্থানীয় জ্যোতির্বিদ ও বিজ্ঞান সংগঠক অধ্যাপক এ আর খান স্মরণে গতকাল শুক্রবার আয়োজিত সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এসব কথা বলেন। তিনি প্রয়াত এ আর খানের আদর্শ জীবনাচরণ, বিজ্ঞানমনস্ক ও কর্মতৎপরতা থেকে শিক্ষা নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অনুসন্ধিৎসু চক্র, বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন, বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (ইইই) গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্দকার মোকারম হোসেন ভবনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই স্মরণসভার আয়োজন করে। এতে বক্তব্য দেন অধ্যাপক অজয় কুমার রায়, আলী আসগর, এ এ জিয়াউদ্দিন আহমদ, রেজাউল করিম মজুমদার, আর আই শরিফ, শামীমা করিম চৌধুরী প্রমুখ। অনুসন্ধিৎসু চক্রের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা স্মরণসভার শুরুতে স্মাগত বক্তব্য দেন।
অধ্যাপক অজয় কুমার রায় বলেন, জ্যোতির্বিজ্ঞান-সংক্রান্ত কর্মতৎপরতার বাইরেও এ আর খানের বড় পরিচয় আছে। তিনি ছিলেন বন্ধুবৎসল মানুষ। তাঁর কাজ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দেশে গবেষক দল তৈরি করতে হবে। নতুন বিজ্ঞানী সৃষ্টির পথ করে দিতে হবে।
স্মরণসভায় বক্তাদের আলোচনায় এ আর খানের জীবনের বিভিন্ন দিক উঠে আসে। তিনি তরুণদের সব সময় পরামর্শ দিতেন, হাজারো জিজ্ঞাসার সহজ উত্তর দিতেন। ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার প্রসারে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, অনুসন্ধিৎসু চক্রের সভাপতি, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সভাপতি। সম্পাদনা করেছেন বিজ্ঞান সাময়িকী। পরিচালনা করেছেন ঢাকা বেতারে শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞানবিষয়ক অনুষ্ঠান। পরিবেশ আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্বীকৃত সাময়িকীতে প্রকাশিত তাঁর লেখা গবেষণাপত্রের সংখ্যা ২০টিরও বেশি।