নষ্ট হচ্ছে সওজের ১৯টি ফেরি ও পন্টুন

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খেপুপাড়া ফেরিঘাটে ফেরি ও পন্টুন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ছবিটি সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খেপুপাড়া ফেরিঘাটে ফেরি ও পন্টুন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ছবিটি সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) ১৯টি পরিত্যক্ত ফেরি ও পন্টুন বছরের পর বছর অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন অযত্ন-অবহেলায় থেকে এসব ফেরি ও পন্টুনের বিভিন্ন অংশ বেহাতও হচ্ছে।
সওজের পটুয়াখালী ফেরি বিভাগ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী ফেরি বিভাগের অধীনে পটুয়াখালী, লেবুখালী, বগা, খেপুপাড়া, হাজীপুর, মহিপুর, পায়রাকুঞ্জ, গলাচিপা এবং বরগুনা জেলার আমতলী ও বড়ইতলায় ১০টি ফেরিঘাট রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি ফেরিঘাটে মেরামতের অযোগ্য ১১টি স্টিল ও ইউনিফ্লোট ফেরি এবং আটটি পন্টুন কয়েক বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এসব ফেরি ও পন্টুন কোনোটি পানিতে অর্ধডুবন্ত অবস্থায়। পলি জমে কোনো কোনো পন্টুন মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
১৯ আগস্ট কলাপাড়া উপজেলার খেপুপাড়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দুটি ফেরি ও তিনটি পন্টুন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। অকেজো দুটি পন্টুনে পানি ঢুকছে এবং একটি পন্টুন পলি পড়ে মাটিতে দেবে যাচ্ছে। ফেরিও জোয়ার-ভাটার সময় ডুবছে-ভাসছে। এগুলোর অনেক অংশে মরিচা ধরেছে। ফেরির বিভিন্ন লোহার অংশ চুরিও হয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে।
এ ছাড়া বগা ফেরিঘাটে দুটি অকেজো ফেরি, পায়রা ফেরিঘাটে একটি অকেজো ফেরি, গলাচিপায় একটি ফেরি ও একটি পন্টুন, হাজীপুর ফেরিঘাটে তিনটি ফেরি ও দুটি পন্টুন এবং মহিপুরে একটি ফেরি ও দুটি পন্টুন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বরগুনার বড়ইতলা ফেরিঘাটে একটি অকেজো ফেরি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
সওজের পটুয়াখালী কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত পানির কারণে মরিচা পড়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে ফেরি ও পন্টুনগুলো। সড়ক বিভাগ জনবলের অভাবে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না। বছরের পর বছর পড়ে থাকায় বেহাত হচ্ছে ফেরি ও পন্টুনের বিভিন্ন অংশ। এ কারণে এর বাজারমূল্যও ক্রমশ কমে যাচ্ছে।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ফেরি বিভাগ) ওমর ফারুক বলেন, প্রক্রিয়া শেষে সওজের ঢাকার সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রণ বিভাগ থেকে এসব ব্যাপারে দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাই পরিত্যক্ত ফেরি ও পন্টুনগুলোর ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। সর্বশেষ অবস্থা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
সওজ বরিশাল মেকানিক্যাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলহাজ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে জরিপ প্রতিবেদন ঢাকার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।