বুদ্ধিজীবী
দুই হাত আকাশের দিকে তুলে, উত্তপ্ত বালির মরীচিকা সম্বল করে
নিষ্ফল হওয়ার একশত ভাগ রিস্ক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে লোকটি।
নিচে আন্ডারলাইন বরাবর অনেকটা অক্ষত,
চরিত্রে-চর্চিত, অনাবিল-গোত্রভুক্ত কাঁটাতার ঘেঁষে চলে গেছে
প্রায় নির্জন একটি রাস্তা
কেউ নেই। এখন, এই মুহূর্তে: কিছু অভিমানী বায়ু ছাড়া।
দুর্ভিক্ষের হাহাকারের মতো
কেবল সারি সারি লাল-সবুজের রাজনৈতিক চেয়ারগুলো পড়ে আছে।
সূর্যের আলো অতীব ক্রম প্রসারিত।
অনেক বেদনার পর সুখের মানদণ্ড নিয়ে
একটু আগে এই আলোটুকু মাড়িয়ে চলে গেলেন একজন মৎস্যজীবী
খানিকটা ফারাক রেখে—
তাঁকে অনুসরণ করল একজন অতিথি বেড়াল।
কৌতূহলের কাহারবায় নেচে নেচে এই সব দেখি আমি।
দেখি—একটি জিপ। বায়ুকে জব্দ করে ছুটে আসছে
একটা ঝাঁকুনি দিয়ে বাঁক ঘুরেই
চালকবেশী কাস্টমস অফিসার আমাকে বললেন—উঠে পড়ুন।
আসলে হয় কী, এই অ্যাটমোসফিয়ারে সীমান্ত থাকার প্রয়োজন আছে।
সীমান্ত আসলে খারাপ কিছু নয়!