টেক্সাসে আটক বাংলাদেশিরা মুক্তি পাচ্ছেন

এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে অনশনরত বাংলাদেশিদের অনশন ভাঙাচ্ছেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার শামসুল আলম চৌধুরী। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস
এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে অনশনরত বাংলাদেশিদের অনশন ভাঙাচ্ছেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার শামসুল আলম চৌধুরী। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে অনশন করা ৪৮ জন বাংলাদেশিদের শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল আলম চৌধুরী এল পাসো থেকে টেলিফোনে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

অনশনরত বাংলাদেশিদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে শামসুল আলম চৌধুরী তাঁদের অনশন ভাঙিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

প্রায় ছয় মাস আগে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অপরাধে টেক্সাসের সীমান্ত পুলিশ ওই বাংলাদেশিদের আটক করে।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার শামসুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সার্ভিসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর আটক থাকা ৪৮ জন বাংলাদেশি শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পাচ্ছেন। তিনটি শর্তে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

শর্তগুলো হচ্ছে-০১. প্রত্যেক বাংলাদেশির আইনসম্মত পরিচয়পত্র নিশ্চিত করা। তাঁদের পরিচয়পত্র প্রত্যয়নের দায়িত্ব বাংলাদেশ দূতাবাসের। ০২. প্রত্যেক বাংলাদেশি তাঁদের পক্ষে একজন ‘স্পনসর’ সংগ্রহ করবেন। ০৩. মুক্তি পাওয়ার আগে প্রত্যেক বাংলাদেশিকে শারীরিক সুস্থতার মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

শামসুল আলম চৌধুরী জানান, মার্কিন কর্তৃপক্ষ আটক করা বাংলাদেশিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেবে। মেডিকেল পরীক্ষা শেষে শুক্রবার থেকে তাঁদের মুক্তি পাওয়ার কথা। মুক্তি পাওয়ার পর এই বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।

শামসুল আলম চৌধুরী বলেন, এক মাসের মধ্যে ওই বাংলাদেশিদের দেশে ফিরে যেতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে অবস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী এসব বাংলাদেশি নাগরিক মানব পাচারকারী দালালদের মাধ্যমে দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশ অতিক্রম করে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন।