সাবেক সাংসদ সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের সাবেক সাংসদ সাখাওয়াত হোসেনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হলো। বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের এই ট্রাইব্যুনাল আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যু​নালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম জানান, ট্রাইব্যুনাল আগামী ৩১ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

সাখাওয়াত ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিল্লাল হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আবদুল আজিজ সরদার, আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম, মো. লুৎফর মোড়ল ও মো. আবদুল খালেক মোড়ল। আসামিদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও লুৎফর মোড়ল কারাগারে আছেন। অন্যরা পলাতক।
গত ৮ সেপ্টেম্বর এই নয়জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এতে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সাংসদ সাখাওয়াত হোসেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীর হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে সাখাওয়াত স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজিত হন। এরপর বিএনপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করলে তিনি অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি ও পরে ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর পিডিপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সর্বশেষ ছিলেন এরশাদের জাতীয় পার্টিতে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে। তবে জাতীয় পার্টিও তাঁকে প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ দিয়েছে।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরখান থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁর বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার হিজলডাঙ্গা গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কেশবপুর থানা রাজাকার বাহিনীর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় তিনি উপজেলার চিংড়া, বগা, ভান্ডারখোলা ও গৌরীঘোনা এলাকায় নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন।