ভর্তি ফি দিতে না পারায় দেওয়া হয়নি নতুন বই

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভর্তি ফি দিতে না পারায় প্রবিতা মালাকার নামের এক ছাত্রীকে বিদ্যালয় থেকে নতুন বই দেওয়া হয়নি। প্রবিতার বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের করেরগ্রামে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রবিতা সদর ইউনিয়নের শাহ সুন্দর উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে। তার বাবা কালা মালাকার রিকশা চালান। মা প্রীতি মালাকার পাশের কালিটি চা-বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোয় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন।
প্রীতি মালাকার গতকাল রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি প্রবিতাকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করাতে ওই উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়ে যান। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাইয়ুম তাঁর কাছে নবম শ্রেণিতে ভর্তি ফি বাবদ ৭৭০ টাকা চান। প্রীতি ২০০ টাকা দিলে প্রধান শিক্ষক তা গ্রহণ করেননি। পুরো টাকা না দিলে প্রবিতাকে নতুন বই দেওয়া হবে না বলে তিনি (প্রধান শিক্ষক) জানিয়ে দেন। এরপর তাঁরা বাড়ি ফিরে যান।
প্রীতি বলেন, ‘অভাবের সংসার। ২০০ টাকা জোগাড় করছিলাম। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ফিরাইয়া দিলেন। সব ছাত্রছাত্রী নতুন বই পাইছে। গরিব অওয়ায় আমার মেয়ে বই পাইল না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘২০০ টাকা রাখলে বাকি টাকা আর পেতাম না। সে কারণে বই দিইনি। বাকি টাকা জোগাড় করে আনতে বলেছি। আর না পারলে কয়েক দিন পর ভর্তি করে বই দেব।’
এ ব্যাপারে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার উদ্দিন মুঠোফোনে গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসলে বছরের এই সময়টাতে ভর্তি ফি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিভিন্ন ব্যয় মেটায়। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব শিক্ষার্থী ভর্তি ফির পুরো টাকা দেয় না। এতে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়টি ভাবা দরকার।’ তবে প্রবিতার বিষয়ে ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তিনি এই প্রতিবেদককে পরামর্শ দেন।