মুগ্ধ চট্টগ্রাম বন্ধুসভার আয়োজনে

১০ মে, বুধবার প্রায় আট ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে আমরা পৌঁছলাম বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। উদ্দেশ্য, চট্টগ্রাম বন্ধুসভার ‘আনন্দ উৎসব’–এ যোগ দেওয়া। এবার আমার আর আমার মেয়ের সঙ্গে যাচ্ছেন জাতীয় পর্ষদের সাইদুল হাসান। ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় থেকেই নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছিল বন্ধু সিহাবের সঙ্গে। এমনকি সাতসকালে  ও নিজেই ফোন করে জেনে নিচ্ছিল আমরা কত দূর পৌঁছলাম। যেহেতু অনুষ্ঠান বিকেলে, সেই ফাঁকে আমরা ঘুরে এলাম ফয়েজ লেক। বেলা গড়িয়ে বিকেল এল। উদ্দেশ্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি, এখানেই হচ্ছে বন্ধুসভার আনন্দ উৎসব। 

চট্টগ্রাম বন্ধুসভার একটি পরিবেশনায় বন্ধুরা।
চট্টগ্রাম বন্ধুসভার একটি পরিবেশনায় বন্ধুরা।


হলরুমে ঢুকেই মনে হলো, ইশ্‌! আরেকটু আগে কেন যে এলাম না, তাহলেই গানটা শুরু থেকে শুনতে পেতাম। শুরু হলো মুগ্ধ হওয়ার পালা। এর পরপরই মঞ্চে এল ফাহিম, তানজিলা, সিহাব, জাকিয়াসহ  বন্ধুদের নাচের পরিবেশনা। মনে মনে ভাবলাম, এইটা কিছু হলো? রাস্তাজুড়ে এই তারকাদের যন্ত্রণা দিয়েছি! এরপর একে একে বন্ধুরা মঞ্চে আসছে আর আমরা মুগ্ধ হচ্ছি।  জমজমাট এই আয়োজনের এক ফাঁকে ঘোষণা করা হলো নতুন কমিটির। ফুল দিয়ে বন্ধুরা বরণ করে নিলেন আমাদের আর নতুন বন্ধুদের। এরপর আবার বন্ধুদের পরিবেশনা। একে একে গান, নাচ, নাটক এত এত চমৎকার পরিবেশনা দেখতে দেখতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমাদের ফিরতে হবে। প্রায় রাত সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠান শেষে বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম।

বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে আবারও অবাক হলাম। সারা দিন দৌড়ঝাঁপ করে এমন একটা অনুষ্ঠান করে রাত ১২ টায় সিহাব, জিসান, তানভীর, ফাহাদসহ আরও বন্ধুরা এসেছেন আমাদের বিদায় জানাতে। সত্যি এমন আন্তরিকতা কেবল বন্ধুসভার বন্ধুদেরই থাকতে পারে। আরও একবার বিদায় জানিয়ে, বিদায় নিয়ে একরাশ ভালো লাগা নিয়ে ফিরে এলাম ঢাকায়। আমাকে আর সাইদুল ভাইকে যদি জিজ্ঞেস করে, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা থেকে ঘুরে এসে অনুভূতি কী? তাহলে আমরা এক কথায় বলব, আমরা মুগ্ধ! মুগ্ধ! মুগ্ধ! আর এমনই মুগ্ধ হয়ে থাকুক সারা বাংলাদেশ। বন্ধুদের কাজে, বন্ধুদের মেধায়।

জয়তু বন্ধুসভা।