স্যালুট

চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা, যঁারা ত্রাণকাজে অংশ নিয়েছেন, তঁাদের কয়েকজন। ছবি: সৌরভ দাশ
চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা, যঁারা ত্রাণকাজে অংশ নিয়েছেন, তঁাদের কয়েকজন। ছবি: সৌরভ দাশ

একটি করে রঙিন জামার ভিডিওটি যখন ছাড়া হলো, তখনই বোঝা গেল কর্মসূচিটি কতটা প্রশংসা কুড়িয়েছে মানুষের। শত শত কমেন্টস, হাজার হাজার শেয়ার আর লাখ লাখ লাইক। অনেকে মন্তব্য করেছেন, এটা বন্ধুসভার সফল এবং শ্রেষ্ঠ কর্মসূচির মধে৵ একটি। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের এই জামা বিতরণ দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের আশপাশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নতুন রঙিন জামা দিয়েছেন। এ জন্য সব প্রশংসা বন্ধুদের ঝুলিতে গিয়েই পড়ে। সারা দেশের সব বন্ধুকে স্যালুট দিই।

২.
১৪ জুন আমরা শুরু করি ত্রাণ তৎপরতা। রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাশে আমরা দাঁড়াই। প্রথমে প্রায় সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা। তারপর এগিয়ে আসেন রাঙামাটিসভার বন্ধুরা। রাঙামাটি ত্রাণ নিয়ে ছুটে যায় পটিয়া বন্ধুসভা। এগিয়ে আসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা। ঢাকা থেকে ছুটে যান ঢাকা মহানগর ও জাতীয় পর্ষদের দুই বন্ধু।
আমরা কোনো রকম বিলম্ব না করে ত্রাণ বিতরণে ঝাঁপিয়ে পড়ি। চট্টগ্রামের ৩৭ জন বন্ধু ঘুরেফিরে এই কাজে অংশ নেন।

রাঙামাটি বন্ধুসভার বন্ধুরা, যঁারা ত্রাণকাজে অংশ নিয়েছেন। ছবি: সুপ্রিয় চাকমা
রাঙামাটি বন্ধুসভার বন্ধুরা, যঁারা ত্রাণকাজে অংশ নিয়েছেন। ছবি: সুপ্রিয় চাকমা

রাঙামাটির ২৯ জন বন্ধু এই কাজে অংশ নেন। তীব্র গরম কখনো মুষল ধারে বৃষ্টি এবং দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রামের বন্ধুরা ত্রাণ নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন বন্ধুরা।
রাঙামাটিসভার বন্ধু দীপান্বিতা চাকমাকে বলি, প্রচণ্ড পরিশ্রম করলে ১০ দিন। দীপান্বিতা হেসে বলেন, ‘এটা তো আমাদের দায়িত্বের মধে৵ই পড়ে।’ সতি৵ তাই। মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্বই বটে। তা না হলে কি টানা ১০ দিন (১৪ জুন থেকে ২৪ জুন) এত পরিশ্রম করতে পারতেন বন্ধুরা! জয়তু বন্ধুসভা। কী নামে ডাকি এই বন্ধুদের। পবিত্র বন্ধু? না, কোনো ভালো শব্দই খুঁজে পাচ্ছি না। আবারও স্যালুট বন্ধুদের।
লেখক: সভাপতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ