'বেঁছে থাকিও মরি আছি'

বন্যার কবলে নিজের ঘর ছেড়ে সড়কগুলোতে বসবাস করছে বানভাসি মানুষেরা। নিজের ঘর ও সম্পদকে বিসর্জন দিয়ে স্থানীয় সড়ক ও মহাসড়ককে আঁকড়ে ধরেছে অনেকে। তার মধ্যে মো. তৈয়ব আলী (৬০) একজন। তৈয়ব আলীর বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির বাংটুর ঘাটের পাশেই। তিনি জানান, মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে তাঁর সবকিছু ভেসে গেল। অনেক চেষ্টা করে গবাদিপশু দুটোকে বাঁচাতে পারলেও বাঁচাতে পারেননি তাঁর গোলাভরা ধান। পানির স্রোতে গোলার বেড়া খুলে গিয়ে সব ধান পানিতে বিলীন হয়ে যায়।

 দুই ছেলে-মেয়ে তাঁর। ছেলে ঢাকায় সোয়েটার কোম্পানিতে কাজ করে। মেয়েটার বিয়ে ঠিক হয়েছে। ঈদের পরেই ধান বিক্রি করে তা আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না। সব ধানই তো পানিতে ভেসে গেছে। এখন তৈয়ব আলী তাঁর স্ত্রী আর মেয়ে আমিনাকে নিয়ে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে নেই খাবার, নেই বিশুদ্ধ পানি। তৈয়ব আলী বলেন, ‘পানি হামার সোগ শেষ করছে বাহে, বেঁছে থাকিও মরি আছি।’

লেখক: সাংগঠনিক সম্পাদক, কুড়িগ্রাম বন্ধুসভা