পুরোনো দিনের গান

পুরোনো দিনের গানের আসরে যাঁরা অংশ নিয়েছেন। বাঁ থেকে, সাহজাদ সেহেলিন, পৌলোমী অদিতি, তাসফিয়া হৃদিতা, সায়মা সুলতানা, বৈশাখী ঘোষ, বর্ষা রাহা ও শাকিলা শুক্লা।
পুরোনো দিনের গানের আসরে যাঁরা অংশ নিয়েছেন। বাঁ থেকে, সাহজাদ সেহেলিন, পৌলোমী অদিতি, তাসফিয়া হৃদিতা, সায়মা সুলতানা, বৈশাখী ঘোষ, বর্ষা রাহা ও শাকিলা শুক্লা।

পুরোনো দিনের গান, জুড়ায় যেন প্রাণ। এমন প্রাণজুড়ানো গান নিয়ে বন্ধুসভার গানের আসর ছিল ১৯ নভেম্বর রোববার। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত প্রথম আলোর প্রশিক্ষণ কক্ষে আসর শুরু হয় বিকেল ৫টায়। ‘পুরোনো দিনের গান’ শিরোনামে এ গানের আসরে বন্ধুরা পুরোনো দিনের কালজয়ী বাংলা গান গেয়ে শোনান।

শুরুতেই পৌলমী অদিতি অন্তরা পরপর পরিবেশন করেন মান্না দের বিখ্যাত ‘আমি যে জলসা ঘরে’, হৈমন্তী শুক্লার ‘চন্দনও পালঙে শুয়ে’ ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় ‘মধু মালতী ডাকে আয়’ গানগুলো। লতা মঙ্গেশকরের জনপ্রিয় ‘নিঝুম ও সন্ধ্যায়’ ও ‘যারে যারে উড়ে যারে পাখি’ গান দুটি পরিবেশন করেন যথাক্রমে সায়মা সুলতানা ও সামসাদ সেহলীন। তাসফিয়া হৃদিতা গেয়ে শোনান গীতা দত্তের ‘নিশি রাত বাঁকা চাঁদ আকাশে’, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ‘কিছুক্ষণ আরও রহিতে কাছে’ ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ‘অলির কথা শুনে বকুল হাসে’। বর্ষা রাহা পরিবেশন করেন শিল্পী চিত্রা সিংয়ের গাওয়া ‘আকাশ মেঘে ঢাকা’ ও ‘বাঁকা চোখে বলনা’ গান দুটি। শাকিলা শুক্লা একে একে পরিবেশন করেন হৈমন্তী শুক্লার ‘আমি অবুঝের মতো একি করেছি’, আরতি মুখোপাধ্যায়ের ‘তখন আমার একুশ বছর বোধ হয়’, মান্না দের কালজয়ী ‘কফি হাউজের সেই আড্ডা’ গানগুলো। বৈশাখী ঘোষ শোনান, ‘আমি আছি থাকবো ভালোবেসে মরবো’ ও ‘ও আমার রসিয়া বন্ধুরে’ ইত্যাদি গানগুলো।

সেদিন বন্ধুসভায় প্রথম এসেছেন গীতা পোদ্দার। তিনি তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘পুরোনো দিনের গানগুলো শুনে আমি আমার হারানো দিনে ফিরে গেলাম।’ শেষে সবাই জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক রশীদুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাইদুজ্জামান রওশন।