সেরা রক্তদাতা

>জাতীয় বন্ধুসমাবেশে বেশ কয়েকজন সেরা বন্ধুকে আমরা খুঁজে পেয়েছি। যাঁরা নানা ক্ষেত্রে সেরা, তাঁদের কয়েকজনকে এ সংখ্যায় তুলে ধরা হলো
তন্ময় কুমার নাথ
তন্ময় কুমার নাথ

ফোঁটা ফোঁটা রক্তই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। সেই রক্ত অন্যকে দিয়েও আনন্দ পাওয়া যায়? যায়। পেয়েছেনও অনেকে। রক্ত দিয়ে আনন্দ পাওয়া এমন এক বন্ধু তন্ময়। তন্ময় কুমার নাথ। মুমূর্ষু ও অসহায় রোগী যাঁদের রক্ত দরকার, তাঁদের পাশে দাঁড়ান তন্ময়।

এ বছর প্রথম আলো বন্ধুসভার জাতীয় সমাবেশে সেরা রক্তদাতার সম্মানও পেয়েছেন তিনি। স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে চলা বরিশাল বন্ধুসভার সভাপতি তন্ময়ের অনুভূতি অন্য রকম।
কেবল সন্ধানীর একটি কার্ড পাওয়ার আগ্রহ থেকে রক্ত দেওয়া শুরু করেন তন্ময়। ২০০৫ সালের ৬ অক্টোবর সন্ধানীর রক্তগ্রহণ কর্মসূচিতে প্রথম রক্তদান। রক্ত দিয়ে তাঁর অনুভূতি পাল্টে যায়। ভালো লাগা থেকে শুরু হয় নিয়মিত বিরতিতে রক্ত দেওয়া। তিন মাস পরপর রক্ত দিয়ে চলেন তন্ময়। আজও সে ধারা অব্যাহত। এ পর্যন্ত ৪০ ব্যাগ রক্ত দিয়েছেন তন্ময়।
দুপুর, কিংবা গভীর রাত ডাক পড়লেই হাজির তন্ময়। রাত দুইটা, ভোররাতেও রক্ত দিয়ে হাসি ফুটিয়েছেন মুমূর্ষু রোগীর মুখে। তাঁর অপেক্ষা কেবল রক্ত দেওয়ার দিন থেকে ৯০ দিন অতিক্রম করা।
তাঁর ইচ্ছা, যত দিন রক্ত দেওয়া সম্ভব, তত দিন রক্ত দিয়ে যাবেন।
রক্তের দরকার শুনলেই হাসপাতালে অসুস্থ রোগীর বিছানার পাশে হাজির হন তিনি। অসহায় এবং রক্ত দরকার এমন মানুষের কাছে গিয়ে রক্ত দেন। নিজে যেমন রক্ত দিয়ে চলেছেন, তেমনি অন্যদের রক্ত দিতে উৎসাহ জোগাতে থাকেন। তাঁর এই কাজে অনেক বন্ধু অংশ নিচ্ছেন।
তন্ময়ের নতুন উদ্যোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) স্ট্যাটাস দিয়ে রক্ত দেওয়া। তাঁর সঙ্গে যাঁরা ফেসবুকে আছেন, তাঁরা বিষয়টি জানেন। জানেন তাঁদের বন্ধুরাও। তাই রক্ত দরকার হলেই ইনবক্সে অনুরোধ জানান তাঁরা। আর তাতেই সাড়া দিয়ে হাজির হন তন্ময়।

সহসাধারণ সম্পাদক, প্রথম আলো বরিশাল বন্ধুসভা