বইপ্রেমী

>জাতীয় বন্ধুসমাবেশে বেশ কয়েকজন সেরা বন্ধুকে আমরা খুঁজে পেয়েছি। যাঁরা নানা ক্ষেত্রে সেরা, তাঁদের কয়েকজনকে এ সংখ্যায় তুলে ধরা হলো
নাফিস অলি
নাফিস অলি

সারা দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে বইয়ের নেশায়। আড্ডা, খেলাধুলা কিংবা ঘুরতে যাওয়ার থেকে বইয়ে ডুবে থাকতে বেশি ভালোবাসেন। বলছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধু নাফিস অলির কথা। ২০১৭ সালে ৭০টি বই পড়েন, পরিকল্পনায় ছিল ১০০। বই পড়ার নেশাটা শুরু হয়েছে, মামার ব্যাগ থেকে পাওয়া হুমায়ূন আহমেদের জল জোছনা বই পড়ে। তারপর পরিচয় ঘটে বিভিন্ন লেখকের বইয়ের সঙ্গে। তাদের মধ্যে আছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হকসহ আরও অনেকে। বইপাঠক বন্ধু নাফিসের প্রিয় জার্মান সাহিত্যিক এরিক মারিয়া রেমার্ক। আলমিরাতে সংগ্রহে চার শতাধিক বই। সংগ্রহে থাকা সবই পড়া হয়েছে। বেশি ভালো লাগে থ্রিলার বই পড়তে। বিদেশি ক্ল্যাসিক বই বেশি পড়া হয়। নাফিস জানান, এ বছর পরিকল্পনা করেছেন ১৫০টি বই পড়ার। এর মধ্যে বাঙালি লেখকদের বই বেশি পড়বেন। 

রাজশাহী থেকে অমর একুশে বইমেলায় আসার ইচ্ছে আছে, আসতে না পারলে বন্ধু-পরিচিতজনদের মাধ্যমে সংগ্রহ করবেন নতুন বই। গত বছর ভালো লাগার যে বইগুলো পড়েছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বই জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলি, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুলনাচের ইতিকথা, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের নিষ্পলা মাঠের কৃষক, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবি, শংকরের চরণ ছুঁয়ে যাই, সরদার ফজলুল করিমের ‘প্লেটোর সংলাপ’। গত বছরের এ বইগুলো বিশেষভাবে মন ছুঁয়ে আছে তাঁর।

নির্বাহী সভাপতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ