বইমেলায় ১২ বছর

শুরু হচ্ছে বইমেলা। আর এই মেলাকে কেন্দ্র করে উত্সবমুখর হয়ে ওঠে পাবনা বন্ধুসভা। কীভাবে স্টল সাজানো হবে, কার কী দায়িত্ব, কোথা থেকে কীভাবে বই আসবে—এসব নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে বন্ধুদের।

তবে এবারের মেলা বন্ধুদের কাছে একটু বাড়তি পাওনা যোগ করেছে। কারণ পাবনার বইমেলায় বন্ধুসভা এবার এক যুগ পূর্ণ করতে যাচ্ছে।

শুরুটা হয়েছিল ২০০৭ সালে। পাবনার একুশে বইমেলা উদ্‌যাপন পরিষদের আয়োজনে সে বছর মেলা হয়েছিল মাত্র ৭ দিন। পরের বছর ১৫ দিনের মেলা। কিছু বই সংগ্রহ করেছিলেন বন্ধুরা। বিক্রি হয়েছিল ১০ হাজার টাকার বই। অন্যান্যের তুলনায় তা নগণ্যই ছিল। তবে থেমে যায়নি পাবনা বন্ধুসভা। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে প্রতিবার মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। দিনে দিনে বেড়েছে মেলার পরিধি, ধীরে ধীরে এসেছে বন্ধুসভার সাফল্য। ফলে ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে পরপর তিনবার পেয়েছে সেরা স্টলের পুরস্কার।

২০১৪ সাল থেকে পাবনা বইমেলার কলেবর আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় থেকে মেলার আয়োজন করছে জেলার অন্যতম গণগ্রন্থাগার ‘অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি’। সহযোগিতায় রয়েছে বইমেলা উদ্‌যাপন পরিষদ। ১০ হাজার টাকার বই বিক্রি এসে দাঁড়িয়েছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায়। তবে শুধু টাকার অঙ্ক বেড়েছে তা কিন্তু নয়, বেড়েছে স্টলে বইয়ের সংখ্যা ও মেলায় বইপড়ুয়া পাঠকের সংখ্যাও।

বইমেলা জেলাবাসীর মধ্যে বই কেনার প্রবণতা বাড়িয়েছে। বাড়িয়েছে পাঠকসংখ্যা। জানা হচ্ছে দেশ-বিদেশের বই সম্পর্কে।