সবাই অংশ নেবে একুশে উদ্যাপনে

একুশে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।
বন্ধুদের নিশ্চয় মনে আছে আমাদের কয়েকটি ঘোষণার কথা। আমরা বলেছিলাম, প্রতিটি বন্ধুসভাকে একুশে উদ্‌যাপন করতে হবে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো বাধ্যতামূলক। দিবসটি কেন্দ্র করে নানা কর্মসূচি পালন করা যেতে পারে। যেমন করছে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা (চট্টগ্রাম সভার খবরটি পড়ে দেখুন)।
বন্ধুদের প্রস্তুতি নিতে বলি। একুশে পালনের খবর অবশ্যই বন্ধুসভার ই-মেইলে পাঠাতে হবে। একুশের খবর আমরা বন্ধুসভার ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে দেব।
অনেক বন্ধুসভা এবার বইমেলার আয়োজন করেছে এবং বেশ কিছু বন্ধুসভা অন্যদের আয়োজিত বইমেলায় অংশ নিচ্ছে। আমাদের দৃষ্টিতে সবচেয়ে ভালো করেছে সিলেট বন্ধুসভা। তাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সিলেট বইমেলা’। মোট ২২টি প্রকাশনী অংশ নিয়েছিল বইমেলায়। ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে মেলা চলেছে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আমরা সিলেট বন্ধুসভাকে অভিনন্দন জানাই।
আমাকে একজন প্রশ্ন করেছেন, ‘বন্ধুসভার বইমেলা করার দরকার কী?’ উত্তরে বলেছি, ‘আমরা নতুন পাঠক তৈরি করতে চাই। মানুষের কাছাকাছি বই নিয়ে যেতে চাই। বন্ধুসভার সবাই যাতে নতুন নতুন বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে এবং তারা সবাই যেন পাঠক হয়ে ওঠে, বইমেলা সেই ভূমিকা কিছুটা হলেও পালন করবে।’
২২ ফেব্রুয়ারি আমরা পালন করছি বই উপহার দিবস হিসেবে। দিবসটি আগে–পরেও পালন করা যেতে পারে। বন্ধুদের সুবিধামতো। আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, ‘একজন বন্ধু দুটি বই।’ বন্ধুরা অন্তত দুটি বই কিনবেন এই ফেব্রুয়ারি মাসে। নিশ্চয় বন্ধুরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
বেশ কয়েকটি বন্ধুসভা একুশের সংকলন প্রকাশ করেছে। তাদের অভিনন্দন জানাই। সবাইকে একুশের শুভেচ্ছা।
সবার মাথা তোলার সাহস হোক। একুশ মানে মাথা নত না করা।

লেখক: সভাপতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ