'কেমন আছ, সোনার বাংলা?'

ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ১০০ সদস্যের যুব প্রতিনিধিদল। এই দলে প্রথম আলো বন্ধুসভার কয়েকজন বন্ধুও ছিলেন
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ১০০ সদস্যের যুব প্রতিনিধিদল। এই দলে প্রথম আলো বন্ধুসভার কয়েকজন বন্ধুও ছিলেন

বিমানের সিটে বসে বাইরে তাকালে ওপর থেকে ঢাকা শহরকে অন্য রকম মনে হয়। পাখির চোখে ঢাকা দেখতে পাওয়ার অনুভূতি জাগে মনে। এই যাত্রাপথে বিমানে যদি সঙ্গী থাকে এক শ তরুণ, তাহলে তো কথাই নেই। হাসি, গান আর আড্ডায় মেতে থাকে পুরো পথ। বিমানের জানালা দিয়ে বাইরে মেঘের ভেলা দেখতে দেখতে আর গল্পে মেতে থাকতে গিয়ে ঢাকা থেকে দিল্লির দূরত্বকেও নস্যি বলে মনে হয়। বলছিলাম ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ১০০ সদস্যের যুব প্রতিনিধিদলের ভারত ঘুরতে যাওয়ার যাত্রা শুরুর গল্প। এই সফরে অংশ নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমারও। ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার মং সাচিং মারমা ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার শেখ সেমন্তীও ছিলেন এই দলে।

প্রতিনিধিদলের বন্ধুরা জাতীয় পতাকা নিয়ে দেশের গান গাইছেন
প্রতিনিধিদলের বন্ধুরা জাতীয় পতাকা নিয়ে দেশের গান গাইছেন

সফরের আট দিনে ভারতের বেশ কিছু দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমাদের। এ সময় সারা দেশের ৫২ তরুণী ও ৪৮ জন তরুণ মিলে হয়ে ওঠে একটি পরিবার। পুরো ভ্রমণে আমাদের সঙ্গী ছিল দেশাত্মবোধক গান। মঞ্চে, হোটেলে কিংবা বাসে যখনই সুযোগ এসেছে তখনই একসঙ্গে কোরাস করে সবাই মিলে গেয়েছে বাংলাদেশের গান। পুরো ভ্রমণের সব কটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনাতেই মঞ্চ মাতিয়েছেন প্রতিনিধিদলে থাকা সদস্যরা।

সফরের মূল আকর্ষণ ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ। স্মিত হাসিতে প্রতিনিধিদলকে বরণ করে নেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। শুরুতেই তাঁর বাংলায় জিজ্ঞাসা, ‘কেমন আছ, সোনার বাংলা?’ এ সময় এক শ তরুণের কণ্ঠে বেজে উঠল জাতীয় সংগীত। সেই সুর ছড়িয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর ভবনজুড়ে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এই সফরের আয়োজন করে।

খাগড়াছড়ি বন্ধুসভার বন্ধু মং সাচিং মারমা
খাগড়াছড়ি বন্ধুসভার বন্ধু মং সাচিং মারমা

সফর শুরু হয় ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্টস পরিদর্শন দিয়ে। এরপর আট দিনে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি, আগ্রা, মুম্বাই ও পুনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করি আমরা। ধারণা পাই ভারতের সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্পর্কে। এ ছাড়া সুযোগ ঘটে ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা, ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করার। আগ্রার তাজমহল আর মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটি নামে পরিচিত দাদা সাহেব ফালকে চিত্রনগরির নাম নিশ্চয় সবার জানা। এ দুটি স্থানেও আমাদের ভ্রমণের সুযোগ ঘটে।

সভাপতি, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা