৬ নভেম্বর, রোববার চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনে প্রথম আলোর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে। শপথবাক্য পাঠ করান চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান।
প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহ আলম সনির সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বন্ধুসভার সভাপতি রনি আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গায়ও প্রথম আলো সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা। এই পত্রিকায় স্থানীয় অনেক সমস্যা ও সম্ভাবনার খবর পাই।
এ জেলায় রয়েছে মাদকের ভয়াবহতা । এ থেকে প্রিয় প্রজন্ম যুবসমাজকে রক্ষা করতে হবে।’ মাথাভাঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক বলেন, ‘শুরু থেকেই ভালোর সাথে প্রথম আলো। আমরা চুয়াডাঙ্গাবাসী মাথাভাঙ্গা নদী রক্ষায় সব আন্দোলন-সংগ্রামে প্রথম আলোকে পাশে চাই।’
উদীচী চুয়াডাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান বলেন, ‘প্রথম আলো চমৎকার একটি পত্রিকা। আমাদের যুবকদের জাগিয়ে তোলার কাজটি করেছে প্রথম আলো।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পৌর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হেলেনা পারভীন, অটিস্টি এইড অব বাংলাদেশের (অ্যাব) সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, প্রকাশ স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক তাসলিমা খাতুন ও সহকারী শিক্ষক নাদিরা পারভীন এবং বন্ধুসভার পক্ষে রাহিমা, সানজিদা, খাজা রেজাউল বাশার, তৌহিদ বিন শামস মীম, আবুল বাশার, মোস্তাকিম হাসান, সানজিদ আহমেদ, মাহমুদ আল আরাফাত, সামিয়া তৌহিদ, একান্ত হক, সোলায়মান মল্লিক, সুমাইয়া খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস।
আলোচনা শেষে উদীচী ও বন্ধুসভার সদস্যদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন শাওন রায়, শ্রীদাম রায়, তাসফিয়া তাবাসসুম ও রায়য়ানা রাব্বী।
এর আগে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সংবাদপত্রের এজেন্ট ও হকারদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। ভালো কাজ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামে পাখির বসবাসের জন্য গাছে গাছে মাটির কলস ও বাঁশের তৈরি ঝুড়ি দিয়ে কৃত্রিম বাসা তৈরি করে দেন বন্ধুসভার সদস্যরা।