যে যাত্রায় জয়ী

নাফিজা মৌ
নাফিজা মৌ

সময়টা ২০১২ সালের জুন মাস। খুব চোখে ভাসে দিনটা! ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আমি মাত্র প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। আমাদের চারতলা ক্যান্টিনে বন্ধু সংগ্রহ চলছে! আমি নাশতা নিয়ে বসি ক্যান্টিনের টেবিলে। বন্ধু সংগ্রহের টেবিলের ঠিক সামনাসামনি। সেই সময়ের ড্যাফোডিল বন্ধুসভার সভাপতি জয়ন্ত কর্মকারদা। হঠাৎ তিনি বলে উঠলেন, ‘বন্ধুরা, বন্ধু সংগ্রহ চলছে! এসো বন্ধুত্বে করি আলিঙ্গন’। 

কেন জানি কানে বেজে উঠল এই বাক্যটা—‘এসো বন্ধুত্বে করি আলিঙ্গন!’ ব্যস হয়ে গেলাম সদস্য। তারপর, আর কে থামায় আমায়!
ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচয় হতে থাকে। শিখতে থাকি প্রথম সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। সেবার যখন ইউনিভার্সিটি থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম স্যারকে সম্মাননা দেওয়া হয়, তখন আমি ছিলাম সৃজনশীল সম্পাদক। সেই ছোট্ট মেয়েটি একসময় পরিণত হয় সহসভাপতিতে।

আনন্দ ভ্রমণে নেত্রকোনার বিরিশিরিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার বন্ধুরা
আনন্দ ভ্রমণে নেত্রকোনার বিরিশিরিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার বন্ধুরা

বন্ধুসভার মাধ্যমে এখন আমার সারা দেশে প্রায় ৬০০ বন্ধু। আর আপনজন হিসেবে আছেন সৈকতদা, শুভদা, সেজানদা, রনি ভাই, দিদার ভাই, মিলন ভাই, সবার প্রিয় সজল ভাই, মামুন ভাই আর রিসফাক, পাভেল আর অগণিত ছোট ভাই। আছে আয়োজক হিসেবেও খ্যাতি।
২০১৪-২০১৬ টানা দুই বছরে আয়োজন করা হয়েছে ড্যাফোডিলে জলকাব্য, নবান্নের সুখ অন্বেষণ, আম উৎসব, চড়ুইভাতিসহ অনেক অনুষ্ঠান। আজ বলব, বন্ধুসভা থেকে শেখা দক্ষতাই আমার কর্মজীবনকে সুপ্রসন্ন করেছে। বন্ধুসভা আমাকে যাত্রায় করেছে জয়ী। প্রজাপতি পাখনা থেকে আজ সম্পূর্ণ নাফিজা মৌ–তে। ধন্যবাদ আরও একবার তোমায়!
জয়তু বন্ধুসভা।

লেখক: সাবেক সহসভাপতি, ড্যাফোডিল প্রথম আলো বন্ধুসভা