রাজবাড়ীসভার আনন্দ ভ্রমণ

অনুষ্ঠিত হলো প্রথম আলো রাজবাড়ী বন্ধুসভার আনন্দ ভ্রমণ। ‘আলো ও আনন্দে চলো বন্ধুরা, ভালো কাজে সকলে মিলি আমরা’ স্লোগান সামনে রেখে সাতক্ষীরা মোজাফফর গার্ডেন ও রিসোর্টে এই আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়।

রাজবাড়ীসভার আনন্দ ভ্রমণ
রাজবাড়ীসভার আনন্দ ভ্রমণ


১৩ মার্চ সকাল সাড়ে ছয়টার মধ্যেই বন্ধুরা এসে সমবেত হন সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় শহরের ১ নম্বর পৌর মিলেনিয়াম মার্কেটের সামনে। কিন্তু তখনো এক আইনজীবী ও চিকিৎসক বন্ধু এসে পৌঁছাননি। সম্পাদক বন্ধু নাহিদুল ইসলাম ফাহিম বারবার যোগাযোগ করতে থাকেন।
শেষ পর্যন্ত এসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে বাস রওনা দেয়। পথে বসন্তপুর ও মধুখালীতে আগে থেকে অপেক্ষা করছিলেন দুই বন্ধু। তাঁদের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। গাড়ির গতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বন্ধুদের কোরাস গান। তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে... ও বন্ধু.... ইত্যাদি । সকালের নাশতা সবজি খিচুড়ি ও ডিম বাবুর্চি কাকু রেঁধে নিয়ে গিয়েছিলেন। তৃপ্তিসহকারে খাওয়ার পর আবার রওনা। যশোর পৌঁছানোর পর দেওয়া হয় যাত্রাবিরতি। সেখানে ছোট্ট বন্ধু আরিয়ান অন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে আশরাফুল শুভ্র, শেখ ফয়সাল, সায়মুন কায়েসসহ কয়েকজন সেবা–শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তোলেন। সাতক্ষীরা বাসস্ট্যান্ডে আগে থেকে আমাদের আরেক বন্ধু শুভ অপেক্ষা করছিলেন। তিনি খুলনা বেড়াতে গিয়েছিলেন। গাড়িতে উঠলে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়। যশোর রোডের দুধারের ঐতিহ্যবাহী গাছ দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বন্ধুরা। গাড়ির জানালা দিয়ে চলতে থাকে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণ। অবশেষে বেলা দেড়টার দিকে গন্তব্য স্থানে গাড়ি পৌঁছায়। ভেতরে পৌঁছানোর পর টিকিটসহ আনুষঙ্গিক কাজে এগিয়ে আসেন প্রথম আলো প্রতিনিধি এজাজ আহম্মেদ। ভেতরে ঢোকার পর আমাদের স্পটটিতে পৌঁছানোর পর সবাই নতুন করে পরিচিত হন। এ সময় সবাইকে ভ্রমণ–সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রথমেই দলীয় ছবি তোলা হয়।

রাজবাড়ীসভার আনন্দ ভ্রমণ
রাজবাড়ীসভার আনন্দ ভ্রমণ


এরপর ঘুরতে বের হন বন্ধুরা। কেউ কেউ নামেন গোসল করতে। রান্না হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার সবাই এসে হাজির। খাবার পর বন্ধুরা পিকনিক স্পট পরিষ্কার করার কাজে লেগে পড়েন। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি। এরপর রাজবাড়ীর উদ্দেশে যাত্রা। বাস কিছুদূর যাওয়ার পর শুরু হয় র‍্যাফল ড্র। আয়োজনে ছিলেন বন্ধু পাভেল হাসান, রিমন হাসান হৃদয়, আবদুল হালিম প্রমুখ। সকালে যাওয়ার সময় লটারি বিক্রি করা হয়েছিল। অভিনয়ে মাতিয়ে রাখেন পাভেল ও পিয়াল। তুলনামূলক গম্ভীর বন্ধু আলী রেজা শুরু করেন গান।

রাজবাড়ীসভার আনন্দ ভ্রমণ
রাজবাড়ীসভার আনন্দ ভ্রমণ


একনাগাড়ে তা চলতে থাকে দেড় ঘণ্টা। রাত বাড়তে থাকে। কিন্তু কারও চোখে ঘুম নেই। গলা মেলান আসিফ ভাই, আঞ্জুমান আরাসহ অনেকে। এরপর সন্ধ্যার নাশতা সারার পর ঘোষণা করা হয় লটারিতে বিজয়ীদের নাম। এ সময় যাঁরা পুরস্কার পাননি তাঁরা নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এভাবেই মজা করতে করতে রাত ১২টার দিকে আমাদের বাস এসে রাজবাড়ী পৌঁছায়।