বরগুনাসভার কবিতা আড্ডা

পড়ন্ত বিকেল। পুকুরজুড়ে সূর্যের অন্তিম বিচ্ছুরণ। কাব্যিক দোলায় পুলকিত সবার অন্তরাত্মা। এক এক করে জড়ো হতে থাকেন বরগুনা বন্ধুসভার বন্ধুরা। ২২ মার্চ বিকেল চারটা বাজতেই এক মিলনমেলা হয়ে ওঠে জেলা পরিষদ চত্বরসংলগ্ন পুকুর পাড়। দোল পূর্ণিমার উচ্ছ্বাস আর কবিতা দিবস-২০১৯ উদ্যাপনের আলোড়ন বন্ধুদের মনে তৈরি করে বাড়তি এক শিহরণ। কবিতার পঙ্ক্তি আর গানের সুরে হাঁটতে হাঁটতে জড়ো হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্স চত্বরে। বৃত্তাকার বলয় তৈরি করে বন্ধু আতিকুর সাবুর সঞ্চালনায় শুরু হয় এক প্রাণবন্ত আড্ডার।

বরগুনাসভার কবিতা আড্ডা
বরগুনাসভার কবিতা আড্ডা


কবিতা দিবসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বন্ধু সুশান্ত পোদ্দারের আলোচনা শেষেই শুরু হয় আবৃত্তি। বাচিক শিল্পী বন্ধু প্রবীর সাহার আবৃত্তি করা ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ কবিতায় বুদ্ হয়ে যান বন্ধুরা। উত্তাল মার্চের দিনগুলোকেই যেন স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেল এ কবিতার প্রতিটি লাইন। বন্ধু মেহেদী নাঈম স্বরচিত ‘দেবী’ কবিতাটি আবৃত্তি করে তুলে দেন কিঞ্চিৎ প্রেমের জোয়ার। বন্ধু অন্তরা রায়ের লেখা ‘ছন্দ’ ছড়াটি আবৃত্তির মধ্য দিয়েই তা মিশে যায় অনাবিল ছান্দিকতায়। মৃদুমন্দ দক্ষিণা বাতাস আর রক্তিম আভায় জমে ওঠা আড্ডা। বন্ধু রাজীব বিশ্বাসের ‘আকাশলীনা’ আর বন্ধু সুশান্ত পোদ্দারের স্বরচিত ‘ভালোর সাথে, আলোর পথে’ আবৃত্তিতে তন্ময় হয়ে বন্ধুরা মিশে যান আবিররাঙা প্রকৃতির বর্ণিলতায়।

বরগুনাসভার কবিতা আড্ডা
বরগুনাসভার কবিতা আড্ডা


প্রতিবেদক মোহাম্মদ রফিক বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানান সাংগঠনিক দৃঢ়তায় একত্রে কাজ করার। এরপরই দোলপূর্ণিমা আর কবিতা আড্ডা মিশে যায় মিষ্টিমুখ আর আবিরখেলার মুগ্ধতায়। বন্ধুরা মেতে ওঠেন অনাবিল আনন্দধারায়।