সামান্য ক্ষতি

আকাঁ: ইমন
আকাঁ: ইমন

রাত তখন ১০টা বাজে বাজে। কিন্তু বাজেনি। খাবার টেবিলে ভাত বেড়ে দিয়েছে কাজের খালা। স্ত্রী ডাকছে স্বামীকে।
‘অ্যাই, এসো এসো। সব ঠান্ডা হয়ে গেল।’
স্বামী এসে বসল। প্লেট টেনে খেতে বসল।
‘বাহ, তরকারিটা কে রেঁধেছে, তুমি না খালা?’
খালা পেছনেই দাঁড়িয়েছিল। হাতদেড়েক এগিয়ে এসে বলল, ‘আমিই নান্না করেছি। স্বাদ অইছে?’
স্বামী ভদ্রলোকের নাম ইসতিয়াক পাভেল।
পাভেল বলল, ‘আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম।’
বউটির নাম সাগুফতা শারমিন। শারমিন বলল, ‘তুমি আগে আর কী কী বুঝতে পারো?’
পাভেল বলে, ‘তুমি কিন্তু রেগে যাচ্ছ। আমি ভীষণ ঠান্ডা মাথায় কথা বলছি।’
‘তোমার রাগতে কতক্ষণ। তুমি তো নিমেষেই রেগে যাও’, শারমিন বলে।
পাভেল হঠাৎ খাওয়া ছেড়ে উঠে দাঁড়াল।
‘অ্যাই উঠছ কেন? এই না বললে তুমি রাগ করো না।’
পাভেল বলে, ‘প্লেটের দিকে তাকিয়ে দেখো কী। কত বড় চুল। এটা তোমার চুল, না হয় খালার।’
শারমিন তাকিয়ে দেখে সত্যিই তো। সে চিৎকার করে ‘খালা, এদিকে আসো তো।’
খালা এসে দাঁড়ায়। কিছুক্ষণ আগেই সে আরেক পদের তরকারি আনতে রান্নাঘরে গিয়েছিল। শারমিন আর পাভেলের কথা সে আগেই শুনেছিল। শুনবেই না কেন। রান্নাঘর, খাবার ঘর, বাথরুম, শোবার ঘর সব পাশাপাশি। যেন সব পিঠাপিঠি। কত ভালোবাসা। পাশাপাশি ছাড়া থাকতেই পারে না।
খালা প্লেটে উঁকি দিয়ে দেখল, ‘ছি ছি! কত বড় চুল। এইডা তো আপনের চুল। আপনে তো হাঁটলেই মাথার চুল পড়ে। রান্না করার সময় আর আপনে পাকঘরে আইসেন না।’
‘আমার চুল তুমি বুঝলে কী করে?’
‘না বুঝার কী আছে। আপনে তো চুলে রং দেন। আমি তো আর চুলে রং দেই না।’
শারমিন রাগে অস্থির হয়ে যায়। বলে, ‘তোমাকে আর এই বাসায় থাকার দরকার নেই।’
খালা বলে, ‘আমি তো তা–ই চাই। পাশের বাসার ভদ্রমহিলা আমারে অনুরোধ করতাছে। তাগো বাসায় গেলে বেতন বাড়াইয়া দিব।’
শারমিনের রাগ আরও চড়ে যায়।
পাভেল ভাত না খেয়েই শুয়ে পড়েছে।
শারমিন খাটের কাছে গিয়ে বলল, ‘খাবারের সঙ্গেও রাগ দেখাচ্ছ?
‘রাগ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু তো নয়। প্রায়ই ভাতের মধ্যে দেখি চুল। হয় তোমার, নয় তোমার খালার চুল।’
শারমিন খেতে গিয়ে তার কেমন গা গুলিয়ে উঠল। কিন্তু এমন তো হয় না। শারমিনের পাতে চুল পাওয়া গেলে সে সাধারণত চুলটা বেছেই ভাত খায়। আজ হলো কী?
শারমিন আধ খেয়ে টেবিল থেকে উঠে গেল। কাজের খালা রান্নাঘর থেকে বকবক করতে লাগল। ‘হ্যাগো তামসা আর দেখতে ইচ্ছা করে না। সব রাগ আমার সঙ্গে।’
খাটে শুয়ে শুয়ে পাভেল বলে, ‘মশারিটা টানিয়ে দিয়ে যাও, প্লিজ।’
শারমিন বলল, ‘মশারিটা তুমি টানিয়ে নাও প্লিজ।’
খালা দৌড়ে এল। ‘মামা, মশারিটা টাঙ্গাইয়া দেই?’
‘দাও।’
শারমিন দৌড়ে ছুটে এল। ‘তুমি এখানে কী করছ?’
খালা বলে, ‘মামার কষ্ট দেইখা আমি দৌড়াইয়া আসলাম। আর আপনের অসুবিধা হইল?’
শারমিন কী করবে, কিছুই বুঝতে পারছে না। খালার ওপর তার রাগ ভীষণ বেড়ে গেল।
রাত তখন এগারোটা বাজে বাজে। কিন্তু পুরোপুরি বাজেনি।
স্বামী-স্ত্রী দুজনই শুয়ে আছে। স্বামী স্ত্রীর পিঠে হাত দিয়ে বলল, ‘না খেয়ে শুয়ে পড়লে?’
স্ত্রী বলল, ‘তুমিও তো কিছু খেলে না।’
স্বামী বলল, ‘খাব কীভাবে। তোমার চুল দিয়ে তো আর ভাত খাওয়া যায় না।’
শারমিন বলে, ‘বিশ্বাস করো, এটা আমার চুল নয়।’
‘তাহলে কার। সেটাই তো প্রশ্ন। বাসায় তিনজনের বাইরে তো কেউ নেই। তাহলে এই চুল কার?’ পাভেলের প্রশ্ন।
শারমিন বলে, ‘এই প্রশ্ন তো আমারও। চুলের যে ধরন, তাতে মনে হয় বিশ কি বাইশ বছরের কোনো তরুণীর। আচ্ছা, সত্যি কথা বলো তো। কারও কাছে গিয়েছিলে কি না? মানে, অনেক সময় হয় না, পাশাপাশি বসে কথা বললে, একটা চুল এসে তোমার গায়ে পড়তেই পারে। আমার মনে হচ্ছে এই চুল আমারও না! খালারও না। খাওয়ার সময় তোমার গা থেকে পড়েছে।’
পাভেল একটা মাঝারি ওজনের গালি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পারল না। তার মনে পড়ল তুবার কথা। আজ সে তার পাশে বসে অনেকক্ষণ কথা বলেছে। তুবার চুল বেশ লম্বা। অফিসে তাকে কেউ কেউ বনলতা বলে ডাকে।
আজ পাভেল বলল, ‘তুবা, আমার পাশে বসো। মাথার চুল ছেড়ে দাও। আমি তোমায় দেখে দেখে “বনলতা সেন” কবিতাটি আবৃত্তি করি।’
শারমিন বলে, ‘তোমার মোবাইলটা দাও তো। একটু চেক করি। কয়টা সেলফি তুললে। কয়টা এসএমএস পেলে। কার কার সঙ্গে কথা বললে।’
শারমিন মোবাইলটা নিজেই হাত বাড়িয়ে নিল। ক্যামেরা অপশনে গিয়ে দেখল লম্বা চুলের তুবাকে। সে শোয়া থেকে উঠে বসল।
‘ও তার মানে এই কথা। এটা কে। এসব করে বেড়াও?’
হঠাৎ পাভেলও লাফিয়ে উঠল বিছানা থেকে। বারবার সে কানে হাত দিচ্ছে। বারবার নাক বন্ধ করছে। বাঁ নাকটা বন্ধ করছে।
‘পিঁপড়া। কানে পিঁপড়া ঢুকেছে।’
‘আহ, কী চালাকি। কথা ঘুরানোর জন্য এখন কানে পিঁপড়া ঢুকিয়ে দিলে?’
‘একটু তেল আনো তেল।’
আমি তেল পাব কোথায়। আমি মাথায় তেল দিই নাকি?’
তীব্র যন্ত্রণায় পাভেল ছটফট করতে লাগল।
খালা নারকেল তেলের শিশি নিয়ে হাজির।
‘খালাম্মা আমি খালুর কানে তেল দিয়া দেই।’
শারমিন খেপে গিয়ে বলে, ‘তোমার এত দরদ কেন। শিশিটা আমার কাছে দাও।’
শারমিন তেলের শিশি হাতে নিয়ে পাভেলের কানে তেল ঢালতে থাকে।
না, কোনো ক্রমেই যন্ত্রণা যাচ্ছে না। কানের ভেতর ঢুকে অনবরত সে কামড়ে যাচ্ছে। আর পাভেলের চিৎকার বেড়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠল। দরজা খুলে খালা। ঘরে ঢোকে পাশের বাসার নবদম্পতি।
বউটি বলে শারমিনকে, ‘কী হয়েছে আপু। ভাইয়ার কি পেটব্যথা?’
না, না, আর বলবেন না। ওর কানে পিঁপড়া ঢুকেছে।’
‘ বউটি বলে তার স্বামীকে—তাড়াতাড়ি বাসায় যাও তো। আমাদের ছোট টর্চলাইটটা আর দুটি কটনবাড নিয়ে এসো।’
স্বামীটি দৌড়ে যায় আদেশ পালন করতে। আবার মুহূর্তে জিনিস দুটি নিয়ে ফিরেও আসে।
বউটি বলে, ‘ভাইয়া আরেকটু কষ্ট করেন। এদিকে আসুন। মাথাটা একটু কাত করুন তো। ও মাগো কী যন্ত্রণা হচ্ছে।’ সে তার স্বামীর দিকে তাকিয়ে বলে, ‘ওর কানে যদি পিঁপড়া যেত আর এমন যন্ত্রণা হতো, তাহলে তো আমি মরেই যেতাম।’
বউটি ছোট টর্চ পাভেলের কানে ধরে। আর যন্ত্রণা থেমে যায়।
পাভেল বলে, ‘এখন একটু আরাম বোধ হচ্ছে। মনে হয় চলে গেছে।’
মিষ্টি বউটি হাসে। বলে ‘না ভাইয়া। টর্চের আলোর ঝলকানি দেখে পিঁপড়াটা থমকে গেছে। না বের হওয়া পর্যন্ত আবার কামড়াবে।’
তা–ই হলো। আবার চিৎকার করতে শুরু করল পাভেল। এই চিকিৎসাপদ্ধতি পছন্দ হচ্ছিল না শারমিনের। সে টর্চটা হাতে নিয়ে বলল, ‘দিন তো আমার কাছে।’ সে টর্চটা নিয়ে কানে ধরতেই দেখল, হ্যাঁ, সত্যিই পিঁপড়া। লাল টুকটুকে একটা পিঁপড়া ঢুকেছে। এতক্ষণ তার মনে হচ্ছিল স্বামী ভাণ করছে।
‘চলো, তোমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’ মিষ্টি বউয়ের স্বামীটি এতক্ষণ দাঁড়িয়েই ছিল। এবার সে মুখ খুলল।
‘আমি তাহলে গাড়ি বের করি।’
বউটি হাসে। আস্তে করে বলে, ‘ভাইয়াকে অনেক ভালো লাগে, তা–ই না?’
শারমিনের কোনো ভাবান্তর নেই।
বউটি বলে, ‘কটনবাডটা আমার কাছে দিন। আমি ট্রাই করি।’
স্বামীটি বলে, ‘ভাবি, ঘরে কি মধু আছে?’
খালা বলে, ‘আছে। এক বছর আগের মধু।’
তাতেই হবে। কানের কাছে দুই ফোঁটা দিলেই কাজ হয়ে যাবে। মধু খেতে ওপরের দিকে উঠবে। আর অমনি ধরে ফেলা যাবে।’
মিষ্টি বউটি এবার খুব মিষ্টি করে হাসে। বলে, ‘তুমি ঘরে যাও, শুয়ে পড়ো। আজ আর রাত জেগে কাজ নেই।’
স্বামীটি লক্ষ্মী ছেলের মতো চলে যায়।
‘আপু, আপু।’ বউটি চিৎকার করে উঠে। ‘এই দেখুন, বের করে ফেলেছি।’
সত্যিই তা–ই। কটনবাডটা কামড়ে আছে লাল পিঁপড়াটা।
এক পিঁপড়া বের করতেই রাত বারোটা বেজে গেল।
মিষ্টি বউটি বলল, ‘আপু যাই।’
শারমিন কিছুই বলল না। খালা বলল, ‘থ্যাংকু। আবার আইসেন।’
পাভেল বলল, ‘কী ভয়ংকর রে বাবা। যাক বাঁচা গেল। পৃথিবীর আর যেন কারও কানে পিঁপড়া না ঢোকে।’
শারমিনের মেজাজ চড়ে আছে।
‘তোমার মতো এমন পুরুষ দেখি নাই। জীবনে অনেকের কানে পিঁপড়া ঢোকা দেখেছি। তারা কখনো তোমার মতো এমন করে নাই। পাড়া মাথায় করে তোলে নাই।’
পাভেল খুব রিলাক্স বোধ করছে। বলল, ‘যার যা নাই, সে এর কিছুই বুঝিবে না। আহ কী শান্তি। এখন যদি পাশের বাসার বউটি না থাকত কী যে হতো।’ কথা শুনে শারমিন পাশ ফিরে শুলো। বেশ কিছুক্ষণ যায়।
শারমিন বলে, ‘আশিয়া যখন তোমার কান ধরল, তখন তোমার কেমন লাগল?’
‘আশিয়া কে?’
‘ন্যাকামো কোরো না। নতুন বউটির নাম আশিয়া।’
‘ও আচ্ছা। সত্যি কথা যদি বলি, আমার অনুভূতি খুব ভালো। আর যখন পিঁপড়াটা বের হয়ে গেল, তখন তো লা জবাব। কী যে ভালো লাগল।’
এ কথা শুনে শারমিন গুমরে কেঁদে উঠল।
‘আরে কাঁদছ কেন?’
‘কাঁদব না হাসব?’
‘বলবে তো কী হয়েছে? প্লিজ, এদিকে ফিরে শোও।’
শারমিন কিছুতেই স্বামীর দিকে ফিরে শুলো না।
অনেক রাত হয়েছে।
শারমিনের চোখ লেগেছিল কিছুটা। হঠাৎ সে উঠে বসল। ‘পাভেল, অ্যাই পাভেল। মনে হয় আমার কানে পিঁপড়া ঢুকেছে। কেমন যেন ফড়ফড় করছে।’
পাভেলও উঠে বসে।
‘ফড়ফড় করছে? তাহলে বেঁচে গেছ! কামড় দিলেই মুশকিল।’
অমনি শারমিন চিৎকার করে উঠল। ‘না, না। কামড়ও দিচ্ছে। ওরে বাপরে। আমার কানেও কেন পিঁপড়া ঢুকল? তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করো। এটা বের করার চেষ্টা করো। মরে যাচ্ছি...।’
একই ভঙ্গিমায় চিৎকার শুরু করল শারমিন।
পাভেল বলল, ‘তুমিও আমার মতো করো তো। সম্ভবত আমার পিঁপড়া আর তোমার পিঁপড়া একই গোছের। পৃথিবীতে অনেক রকমের পিঁপড়া আছে।’
‘প্লিজ, পাভেল। এত কথা বোলো না। আমাকে বাঁচাও।’
খালা ছুটে এল। চিৎকারে তার ঘুম ভেঙে গেছে। খালা বলল, ‘খালুজান, চুলায় ফুটাইনা পানি আছে। কানে ঢাইলা দেন। পিঁপড়ার গুষ্টিসুইদ্ধা মইরা যাইবে।’
পাভেল বলে, ‘নিয়ে আয় এক মগ।’
‘প্লিজ, সোনা। এমন কোরো না। আমাকে বাঁচাও।’
রাত পৌনে একটা। দরজায় ঠক ঠক। দরজা খুলল খালা।
সেই স্বামী-স্ত্রী। খালা বলল, ‘এইবার খালাম্মার কানে পিঁপড়া ঢুকছে।’
নবদম্পতি হাসল।
বউটি বলল, ‘তিতাস, এবার তোমার পালা। তুমি তো তখন দেখলে কেমন করে বের করলাম।’
খাটের ওপরই ছোট টর্চলাইটটা পড়ে ছিল। সেটা হাতে তুলে নিলো তিতাস। সে খাটের এক কোনায় বসেছে।
‘ভাবি, আমার কোলে মাথা রাখুন তো। কোন কানে বলুন তো।’
তিতাস বাঁ কানে টর্চ ধরল।
‘কই কিছু তো দেখতে পাচ্ছি না।’
আশিয়া বলল, ‘দাঁড়াও তোমার চশমা নিয়ে আসি।’ সে দৌড়ে গিয়ে চশমা এনে স্বামীকে পরিয়ে দিল।’
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, এখন দেখতে পাচ্ছি। ভাবির কান কামড়ে ধরে ওপর দিকে পা ছড়িয়ে আছে।’
শারমিন বলল, ‘ভাই, একটু তাড়াতাড়ি করো। আমি মরে যাচ্ছি।’
রাত একটায় পিঁপড়াটা শারমিনের কর্ণগহ্বর থেকে ওপরে উঠে এল।
‘বাঁচালে ভাই।’ শারমিন বলল।
‘থ্যাংকস তিতাস।’ পাভেল বলল।
নবদম্পতি চলে যাওয়ার পর পুরোনো দম্পতি আবার শুয়ে পড়ল। পাভেল হাত রাখল শারমিনের পিঠে। বলল, ‘সত্যি করে বলো তো তুমি যখন তিতাসের কোলে মাথা রাখছিলে, তোমার কেমন অনুভূতি হচ্ছিল?’
শারমিন এবার স্বামীর দিকে ঘুরে শোয়।
‘আজেবাজে প্রশ্ন কোরো না তো। এখন ঘুমাও।’
দুজনে চোখ বন্ধ করে। তবে কারও চোখে কোনো ঘুম নেই।
হঠাৎ খালা চিৎকার করে ওঠে। ‘মইরা গেলাম রে। বাঁচাও রে। কানে পিঁপড়া ঢুকছে রে।’
স্বামী-স্ত্রী দুজনে বিছানা থেকে উঠে যায় রান্নাঘরের দিকে। খালার ঘুমানোর জায়গা রান্নাঘর। একটা তেল চিটচিটে বালিশে সে অঘোরে ঘুমাচ্ছে। স্বপ্ন দেখছে সে।
পরের দিন সকালে নাশতা খেতে বসেছে পাভেল ইসতিয়াক। তার চোখে পড়ল রুটিতে একটি লম্বা চুল। সে দ্রুত চুলটা বের করে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিল। স্ত্রী বা খালা যেন দেখতে না পায়। দেখলে নিশ্চয় এরা কষ্ট পাবে। মন খারাপ করবে। এ আর এমন কি। সামান্য ক্ষতি মাত্র।