বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘোষণা এল ‘সহমর্মিতার ঈদ’ শিরোনামে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা কর্মসূচির।
‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচি পালনে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি মেহেদী হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক সোহান হোসেন একটি কমিটি গঠন করে দেন। পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আহসান আরিফ চৌধুরী ও দপ্তর সম্পাদক নোমান হোসাইনের নেতৃত্বে কমিটিতে যুক্ত ছিলেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সব সদস্য।
সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রায় ১৪ দিন তহবিল সংগ্রহ করি। তহবিল তৈরিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা ধানমন্ডি ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষিকা, বড় ভাইয়া–আপুরাসহ আরও অনেক বন্ধু।
টাকা সংগ্রহ চলাকালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানে। তখন আমরা আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কথাও ভাবতে শুরু করি। কমিটির সদস্যরা মিলে করোনা ও আম্পানে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৬৫টি পরিবার খুঁজে বের করি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সেই পরিবারগুলোকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাই।
পরে টাকা পেয়েছে কি না জানতে ফোন করে প্রত্যেকের এত খুশি দেখেছি, যা আমাদের ঈদের আনন্দ দিয়েছে। সবাই অনেক অনেক দোয়া করেন বন্ধুদের জন্য। রাজবাড়ীর কামাল সাহেব তো ফোনে কেঁদেই দিলেন।
রংপুরের স্বপ্না খাতুন আঞ্চলিক-শুদ্ধ ভাষা মিলিয়ে বলছিলেন, ‘হামার গাবরু নাই। হামার একটা চ্যাংড়া আছে। চ্যাংড়া জামা চায় আর কান্দে। অহন মংগায় আছি। কেমনে জামা কিনব? অহন টাকা দিয়ে চ্যাংড়ারে একটা জামা কিন্না দিমু।’
বরিশালের রহিমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। একটা ছেলে আছে। ছেলেটারে ঠিকমতো পেট ভরে খেতে দিতে পারছি না, টাকা নাই যা দিয়ে ছেলেকে পেট ভরে খাওয়াব, এই টাকা দিয়ে এখন ছেলেটাকে পেট ভরে খাওয়াতে পারব কয়েক বেলা।’ এসব বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন। এ রকম আরও অনেকেই আনন্দ অশ্রু প্রকাশ করেছেন। দুর্যোগের মধ্যে ঈদ হলেও এই আনন্দে শামিল হতে পেরে ড্যাফোডিল বন্ধুসভার বন্ধুরাও আনন্দিত।
সাদিয়া ইফা: ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা (ধানমন্ডি ক্যাম্পাস)