শেষ হলো মাসব্যাপী ভার্চ্যুয়াল জব ফেস্ট

ভার্চ্যুয়াল জব ফেস্ট-২০২০–এর সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ অন্যান্য অতিথিরা। ঢাকা, ১১ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত
ভার্চ্যুয়াল জব ফেস্ট-২০২০–এর সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ অন্যান্য অতিথিরা। ঢাকা, ১১ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত

শেষ হয়েছে ‘ভার্চ্যুয়াল জব ফেস্ট-২০২০’। যাচাই-বাছাই শেষে ৬০৮ প্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত সংশ্লিষ্ট নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ শতাধিক প্রার্থীর কর্মসংস্থান প্রক্রিয়াধীন।

আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মাসব্যাপী এই অনলাইন জব ফেস্টের আয়োজনে ছিল স্কিল ডট জবস, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (বিএসএইচআরএম) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। আয়োজনের সহযোগী হিসেবে ছিল বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউট সোর্সিং (বাক্কো)।

এ চাকরি উৎসবে ২ হাজার ২০০ প্রার্থী তাঁদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। ১ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হন। প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তিনটি পৃথক দলে বিভক্ত হয়ে ছয়টি গ্রুমিং সেশনে অংশ নেন। পরে এসব প্রার্থী ৩৯টি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের মুখোমুখি হন।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘পৃথিবীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব ঘটে গেছে। সেসব বিপ্লবের অংশীদার তখন আমরা খুব একটা হতে পারিনি। এখন চলছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। এই বিপ্লব যেন আমরা মিস না করি, সে জন্য জাতিগতভাবে চেষ্টা করতে হবে। আমরা এখন জনমিতির সুবিধা ভোগ করছি। অর্থাৎ আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই তরুণ। তাঁদের কাজে লাগাতে হবে।’

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কিল জবস ও ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, বিএসএইচআরএমের প্রেসিডেন্ট মাশেকুর রহমান খান, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বিসিএসের সভাপতি মো. শহীদুল মুনীর, বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ ও সেক্রেটারি জেনারেল তওহীদ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভার্চ্যুয়াল জব ফেস্টের আহ্বায়ক ও বিএসডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন।