কাতারে সন্ধ্যায় প্রথম আলোর পাঠক উৎসব

.
.

মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেশের সেতুবন্ধ তৈরি আর বিদেশে বসে কাগজে ছাপা বাংলা ভাষার পত্রিকা পাঠের স্বাদ দিতে দুই বছর ধরে কাতার ও বাহরাইনে প্রকাশিত হচ্ছে প্রথম আলোর উপসাগরীয় সংস্করণ। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলা ভাষার একমাত্র এই পত্রিকার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে পাঠকদের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাতারের মুনতাজায় আবু বকর সিদ্দিক বয়েজ প্রাইমারি স্কুলের ইনডোর হলে পাঠক উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে এই পাঠক উৎসব।
প্রথম আলোর উপসাগরীয় প্রবাসী পাঠকদের উদ্যোগে প্রাণ-পাওয়ারের সৌজন্যে ও মুঘল স্পাইস পাউডারের সহযোগিতায় এই উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। বিমান সহযোগী হিসেবে থাকছে কাতার এয়ারওয়েজ।
প্রথম আলোর সামনে এগিয়ে চলার মূল শক্তি পাঠক। তাই পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে এই উৎসবের। বাংলাদেশ ও কাতার থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এতে যোগ দিচ্ছেন। এসেছেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফসহ অন্য কর্মকর্তারা।
স্বাগত বক্তব্যের পাশাপাশি থাকবে পাঠকদের অংশগ্রহণে প্রশ্নোত্তর পর্ব আর মতবিনিময় সভা। প্রবাসীরা কীভাবে প্রথম আলোর উপসাগরীয় সংস্করণকে দেখতে চান, সেটি তাঁরা জানাতে পারবেন এই অনুষ্ঠানে।

শুধু আলোচনা নয়, পাঠক ও দর্শনার্থীদের মাতিয়ে রাখতে থাকছে সংগীতের আয়োজন। এতে কাতারের বাংলাদেশ কমিউনিটির পাশাপাশি সংগীত পরিবেশন করবেন দেশের জনপ্রিয় দুই সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল আর দিনাত জাহান মুন্নি। পাশাপাশি বাংলাদেশ স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয় শিল্পীরা অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেবেন। প্রথম আলোর প্রবাসী পাঠক আর শুভানুধ্যায়ীরা বিনা মূল্যে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন।

পাশাপাশি ছোট পরিসরে আয়োজন করা হচ্ছে প্রথমার বইমেলা। বই অনুরাগী পাঠকেরা এখান থেকে কিনতে পারবেন নিজের পছন্দের বই।

কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ বলেন, ‘প্রথম আলোর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো উপসাগরীয় অঞ্চলে যে সংস্করণ প্রকাশ করছে, এর মাধ্যমে প্রবাসীরা বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছেন। কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নেও তা ভূমিকা রাখছে। আমি আশা করি, প্রথম আলো ভবিষ্যতেও এ ধরনের ইতিবাচক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।’

প্রবাসী লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম আলোর এই উদ্যোগ বেশ প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে পাঠকদের সঙ্গে প্রথম আলোর সম্পর্ক আরও বেশি দৃঢ় হবে। সুদূর প্রবাসে এ ধরনের আয়োজন প্রবাসীদের যেমন নির্মল বিনোদনের সুযোগ করে দেবে, তেমনি নানা বিষয়ে তাঁদের জানারও সুযোগ হবে।