শেখ হাসিনাকে মিউনিখে স্বাগত জানাবেন প্রবাসী বাঙালিরা

সম্মেলনের প্রচারপত্র
সম্মেলনের প্রচারপত্র

নিরাপত্তাবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে দুই দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল ১৭ ফেব্রুয়ারি জার্মানি আসছেন। জার্মানির মিউনিখ শহরে হোটেল বেয়ার রিখটার হফে ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নিরাপত্তাবিষয়ক ৫৩তম এই শীর্ষ সম্মেলন। জানা গেছে, বর্তমান বিশ্বের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে পাঁচ শর বেশি আলোচক সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ইইউ-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ন্যাটোর মহাসচিব, বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গবেষক, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা। এই নিরাপত্তাবিষয়ক সম্মেলনে অন্যতম এজেন্ডায় রয়েছে ট্রান্স আটলান্টিক সম্পর্ক, ন্যাটো, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক সহযোগিতা, ইউক্রেন সংকট ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক, সিরিয়া যুদ্ধ, এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিসহ বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ুগত নিরাপত্তার ঝুঁকি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিটে মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন। সেখান থেকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রাসহকারে তাঁকে মিউনিখে তাঁর জন্য নির্ধারিত মিউনিখ মারিয়ট হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে।

মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তাবিষয়ক সম্মেলনের সকল কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। বেষ্ট থিংক ট্যাংক কনফারেন্স হিসেবে বিবেচিত এই শীর্ষ সম্মেলনে তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করবেন।
শেখ হাসিনা ওই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার ফাঁকে ১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ওই আলোচনায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় থাকবে। এ ছাড়াও তিনি ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
জার্মানির মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও মারিয়ট হোটেল লবিতে শেখ হাসিনাকে স্বাগত ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। তাঁকে স্বাগত-শুভেচ্ছা জানাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাঙালিরা মিউনিখে পৌঁছতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে মিউনিখে অবস্থানরত প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটির নেতারা আওয়ামী লীগের জার্মান শাখার নেতাদের সঙ্গে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি বিষয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। সব প্রস্তুতি মোটামুটি সম্পূর্ণ।
এদিকে মিউনিখের বিভিন্ন রাস্তার পাশে লাইটপোস্ট ও দেয়ালগুলোতে শোভা পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাস্যোজ্জ্বল ছবিসংবলিত পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার। তাতে লেখা রয়েছে, ‘গণতন্ত্রের দীপ্ত শিখা শেখ হাসিনা, গণমানুষের অধিকারের প্রতীক শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর যথার্থ উত্তরসূরি শেখ হাসিনা, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত ও জঙ্গি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ত্রাস শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা-স্বাগতম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন শুভেচ্ছা-স্বাগতম' ইত্যাদি।
শেখ হাসিনা ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ২৫ মিনিটে মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।

এম নজরুল ইসলাম: অস্ট্রিয়াপ্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক ও সাংবাদিক।