মুম্বাইয়ে গণহত্যা দিবস স্মরণ

গণহত্যা দিবসে আয়োজিত আলোচনা সভার দৃশ্য
গণহত্যা দিবসে আয়োজিত আলোচনা সভার দৃশ্য

ভারতের মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস স্মরণ করা হয়েছে। দিবসটি স্মরণে ২৫ মার্চ শনিবার সকালে উপহাইকমিশনে এক আলোচনা সভা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। স্বাধীনতার ৪৬তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে দিবসটিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্বিচার ও নির্মম গণহত্যায় নিহত ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।

আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর ২৫ মার্চের গণহত্যা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় প্রধান বক্তা ছিলেন মুম্বাইয়ে বসবাসরত ব্রাজিলিয়-ভারতীয় আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট মিস মোহিনি। সভায় মুম্বাইয়ে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধি, আমন্ত্রিত স্থানীয় অতিথি এবং উপহাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপহাইকমিশনার সামিনা নাজ তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে গণহত্যার শিকার শহীদদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের জন্য বাংলাদেশ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তিনি তার বক্তব্যে ২৫ মার্চের গণহত্যায় পাকিস্তান হানাদার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি ইতিহাসের বর্বরতম এ দিনটিতে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর সশস্ত্র আক্রমণকে নিন্দা জানান।
মিস মোহিনি উপহাইকমিশনারের বক্তব্যকে জোরালো সমর্থন জানান এবং ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যাকে সর্বকালের ইতিহাসে বিরলতম নৃশংস গণহত্যা বলে অবহিত করেন। তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, এত স্বল্পতম সময়ে এত অধিক মানুষের হত্যা বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিদার।
সবশেষে গণহত্যার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।