চীনের চেচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈশাখী উৎসব

বৈশাখী উৎসবের একটি দৃশ্য
বৈশাখী উৎসবের একটি দৃশ্য

বৈশাখের নিদাঘ তপ্ত দহনে হৃদয় আজি তৃষ্ণার্ত। স্বয়ং কবিগুরুর লেখনীতেই রয়েছে সময়টা আরামের নয়। এরই মধ্যে লোকে গলা ফাটিয়ে গাইছে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো...।’ বাঙালি না হলে এমন আর কারা করে? বাঙালি তার নববর্ষকে এভাবেই বরণ করে নেয়।

বৈশাখী উৎসবের একটি দৃশ্য
বৈশাখী উৎসবের একটি দৃশ্য

বরাবরের মতো এবারও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে চীনের চেচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যান্ড স্কলারস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে উদ্‌যাপিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের বৈশাখী উৎসব। গত ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়নাভিরাম ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলা নববর্ষ। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে অতীতের সকল গ্লানি ভুলে আগামীর একরাশ মঙ্গল কামনায় সকল প্রবাসী বাঙালি একসঙ্গে গেয়ে ওঠেন ‘এসো হে বৈশাখ।’

বৈশাখী উৎসবের একটি দৃশ্য
বৈশাখী উৎসবের একটি দৃশ্য

অতঃপর সুদূর প্রবাসে সবাই মেতে ওঠেন বৈশাখী প্রীতিভোজে। ভোজন পর্বে পান্তা ইলিশসহ ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারগুলো প্রাধান্য পায়।
বাঙালি সাজে নেচে গেয়ে সাড়ম্বরে একটি বৈশাখী র‍্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। ছোট বড় সবার আনন্দমুখর নববর্ষ উদ্‌যাপন দেখে চীনারাও আনন্দে উদ্বেলিত হন।

বৈশাখী উৎসবের একটি দৃশ্য
বৈশাখী উৎসবের একটি দৃশ্য

তারপর চেচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। বাংলা নাচ-গান, কবিতা আবৃত্তি, বিভিন্ন ধরনের লোকজ খেলাধুলার মাধ্যমে সবাই দেশীয় আমেজে বরণ করে নেন বাংলার নতুন বছর ১৪২৪।

বৈশাখী উৎসবের একটি দৃশ্য
বৈশাখী উৎসবের একটি দৃশ্য

*তানজিল মাহমুদ: শিক্ষার্থী, চেচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় ও সদস্য, বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যান্ড স্কলারস অ্যাসোসিয়েশন, হাংঝৌ, চেচিয়াং, চীন।