তুরস্কের স্পিকারের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ইসমাইল কাহরামান, এম আল্লামা সিদ্দিকী ও অন্যান্য
ইসমাইল কাহরামান, এম আল্লামা সিদ্দিকী ও অন্যান্য

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী তুর্কি গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার ইসমাইল কাহরামানের (Ismail Kahraman) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল (১৬ মে) আঙ্কারায় তার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ-তুরস্ক পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পার্লামেন্ট সদস্য এবুবেকির গিজলিডের, তুর্কি গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি জেনারেল উপস্থিত ছিলেন।

ইসমাইল কাহরামানের সঙ্গে এম আল্লামা সিদ্দিকী
ইসমাইল কাহরামানের সঙ্গে এম আল্লামা সিদ্দিকী

স্পিকার ইসমাইল কাহরামান তুরস্কের স্বাধীনতাযুদ্ধে (১৯১৯-২২) বাংলাদেশের জনগণের সহায়তা ও সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যকার বিদ্যমান ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্কের প্রতি আলোকপাত করতে গিয়ে উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের এ সম্পর্কের ভিত্তি ঐতিহাসিকভাবেই সুগভীর এবং এ সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান প্রতিশ্রুত অঙ্গীকার অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার এবং বিদ্যমান বাণিজ্য ১.২ বিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫ বিলিয়নে উন্নীত হবে। তিনি বিশ্বের সকল মুসলমানের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের স্বার্থে একতাবদ্ধ হওয়ার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ এবং সে লক্ষ্য পূরণে ওআইসি ও ডি-৮-এর মতো ফোরামগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য। সে লক্ষ্য অনুযায়ী বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি নিকট অতীতে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অর্জনের প্রবহমান চিত্র তুলে ধরেন। তিনি তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্ককে স্বাধীনতা অর্জন ও তার আত্মত্যাগের জন্য তুরস্কের জনগণ যেমন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তেমনি বাংলাদেশের জনগণও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে থাকে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আত্মোৎসর্গের স্মৃতি বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে পবিত্রতম এক অম্লান অধ্যায়। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য ফরেন অফিস কনসালটেশনস (FOC) ও জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের (JEC) সভার বিষয়ে স্পিকার ইসমাইল কাহরামানকে অবহিত করেন এবং ওই সভাসমূহ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক, ব্যবসা ও বিনিয়োগ প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এম আল্লামা সিদ্দিকী তুর্কি পার্লামেন্টের স্পিকারকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, বাংলাদেশের ওপর দূতাবাস কর্তৃক তুর্কি ভাষায় প্রকাশিত গ্রন্থ এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প নকশিকাঁথা উপহার দেন। বিজ্ঞপ্তি