মিলানে সম্প্রীতির বর্ণাঢ্য র‍্যালি

র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশিরা
র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশিরা

ইতালির বাণিজ্য কেন্দ্র ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মিলানে অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতির বর্ণাঢ্য এক র‍্যালি। মিলানের মেয়র জোসেপে সালার আয়োজনে গতকাল (২০ শনিবার) এই র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‍্যালির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল টুগেদার উইদাউট ওয়ালস (Together Without Walls)।

দুপুর আড়াইটায় স্থানীয় পোরতা ভেনিজিয়া চত্বরে মিলানে কর্মরত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেলদের সঙ্গে নিয়ে র‍্যালি উদ্বোধন করে সামনে থেকে র‍্যালিতে নেতৃত্ব দেন জোসেপে সালা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে মিলানের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদও ছিলেন। তিনি র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশিরা
র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশিরা

এ র‍্যালি আয়োজনের মূল আহ্বান ছিল বর্ণ-গোত্র, পূর্ব-পশ্চিম, সাদা-কালো ও নানা রকম বিভেদের দেয়াল ভুলে নিবাসী-অভিবাসী সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা। সব ধরনের বিভেদ ভুলে সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সহমর্মিতা ও একসঙ্গে পথ চলাই পারে একটি সন্ত্রাসবিহীন শান্তিপূর্ণ বিশ্ব বিনির্মাণ করতে।
মিলানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সদস্যরাও র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। তারা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে জাতীয় পতাকা, রং-বেরঙের ফেস্টুন, পশু, ফল, মাছ ইত্যাদির প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে ঢোল-তবলা ও বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে গেয়ে র‍্যালি আয়োজনের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ কমিউনিটি ও বাংলাদেশের জনগণের সংহতি প্রকাশ করেন। মূল প্রতিপাদ্যের সঙ্গে মিল রেখে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্লোগান ছিল—চলি একসাথে, সীমানা ছাড়িয়ে।

র‍্যালিতে জোসেপে সালা, রেজিনা আহমেদ ও অন্যরা।
র‍্যালিতে জোসেপে সালা, রেজিনা আহমেদ ও অন্যরা।

র‍্যালিটি মিলান শহরের পোরতা ভেনিজিয়া চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও জনাকীর্ণ প্রায় বিশটি সড়কের মোহনা অতিক্রম করে সেমিপিওনে পার্কে এসে শেষ হয়।
র‍্যালিতে বাংলাদেশ ছাড়াও জার্মানি, জাপান, কোরিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মরক্কো, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, পেরু, কলম্বিয়া, এলসালভেদর ও ক্রোয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল কিংবা তাদের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। এ ছাড়া স্ব স্ব কমিউনিটি, ইতালির বিভিন্ন শহরের মেয়র, পদস্থ কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, স্থানীয় অধিবাসী ও অভিবাসীসহ নানা শ্রেণি পেশার হাজার মানুষ জাতীয় পোশাকে সজ্জিত হয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশিরা
র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশিরা

অংশগ্রহণকারী সকলে নেচে গেয়ে বিশ্বের কাছে যে আশার বাণীটি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সেটা হলো; দেশি, বিদেশি, নিবাসী, অভিবাসী সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি সীমানা ও বিভেদহীন আধুনিক, মুক্তমনা, প্রতিযোগিতামূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে মিলানের মেয়র ও এর অধিবাসীরা সব সময় অঙ্গীকারবদ্ধ। বিজ্ঞপ্তি